তাহলে কিসের জন্য এই সংলাপ, প্রশ্ন রিজভীর

সমকাল প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২২, ১৯:০৭

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০টি আসনে ইভিএম দেয়ার ঘোষণায় নির্বাচন কমিশনের কড়া সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন যে শেখ হাসিনা সরকারের আজ্ঞাবহ তা আবারো প্রমাণ হলো। তিনি বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার কেন বিদেশিদের কাছে সহযোগিতা চাচ্ছে সেটা গতকাল আবারও প্রমাণ করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রথমেই আমরা বলেছি এই সরকার যেখানে যাকে নিয়োগ করবে তাদের পরিচয় যাই হোক, তাদের অন্তর ছাত্রলীগ- যুবলীগ। যুবলীগ, ছাত্রলীগের অন্তর থাকার কারণে গণভবন থেকে যে নির্দেশনা আসবে তার বাইরে তারা যাবে না। আমরা বলেছি এই নির্বাচন কমিশন শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ। সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতা এই নির্বাচন কমিশনের নেই। সেটা নির্বাচন কমিশন নিজেই আবার প্রমাণ করলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ইসি যে সংলাপ করেছিল সেখানে অধিকাংশ দল ইভিএমের বিপক্ষে কথা বলে। কিন্তু গতকাল ইসি জানায়, ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার হবে। তাহলে কিসের জন্য এই সংলাপ?


বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরি, আবাসন, খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ মৌলিক অধিকারের দাবিতে চা শ্রমিকদেরে চলমান আন্দোলন ও কর্মবিরতির প্রতি সংহতি জানিয়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। এ সময় রিজভী চা শ্রমিকদের দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য কর্তৃপক্ষকে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ারও আহবান জানান।
রিজভী বলেন, শ্রমিকদের দাবি বাস্তবায়নে সরকারের দায়িত্ব আছে। কিন্তু সরকারের এখানে কোনো গুরুদায়িত্ব দেখতে পাচ্ছি না। এই মুহূর্তে একজন শ্রমিক ১২০ টাকা মজুরি পান। অন্য সবকিছু বাদ দিলেও খাদ্যের যে দাম তাতে এই টাকা দিয়ে কি পেটভরে খাওয়ার সুযোগ আছে? তিনি আরও বলেন, আগে বলত গরিব মানুষ ভর্তা-ভাজি দিয়ে ভাত খায়। এখন ভর্তা -ভাজির দাম অনেক। ভর্তা করতে মরিচ লাগে, তার দাম আকাশ ছুঁইছুঁই করছে। এখন বলতে হবে কোনো রকমে লবণ দিয়ে ভাত খাওয়া। কিন্তু সেই ভাত কেনার সামর্থ্যও শ্রমিকদের নেই।


বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বর্তমান সরকারের মন্ত্রীরা প্রমাণ করে দিচ্ছেন তারা কাদের সরকার। তারা জনগণের কাছে যেতে পারবেন না। এত অবিচার, এত অন্যায়, এত গুম-খুন। জনগণের কাছে তারা যাবেন কি করে? জনগণের মধ্যে তাদের কোন ভিত্তি নাই। এজন্য তারা বিদেশে ভিত্তি তৈরি করছে। দেশের স্বার্থ বিক্রি করে দিয়ে নিজেদের ক্ষমতায় থাকার স্বার্থে বিদেশের কাছে ধর্ণা দিচ্ছেন।


তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মাঝেমধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে। নিজেদের স্বার্থে দেশের নিরাপত্তা বিদেশের কাছে বিক্রি করে দেয়াকে কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে? তারা আসলে মিথ্যার চেতনায় বিশ্বাস করে। আর মিথ্যা চেতনাকে ঢাকা দেওয়ার জন্যই তারা মুক্তিযুদ্ধে চেতনার কথা বলে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও