কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আয়ে শ্রীলঙ্কা ব্যয়ে সিঙ্গাপুর

জাগো নিউজ ২৪ এরশাদুল আলম প্রিন্স প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২২, ১৩:৫৬

দেশে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। বাজারে নিত্যপণ্যের দামও চড়া। গত জুন মাসের খবর অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর ঢাকা। এরপর তেলের দাম, বাস ভাড়া ও বাজারে নিত্যপণ্যের দাম আরও একদফা বেড়েছে। এ শহরে মধ্যবিত্তদের বসবাস এখন দিনকে দিন কঠিন হয়ে পড়েছে। এখানে সাধারণ দিনমজুর ও চাকরিজীবীদের অবস্থা আরও নাজুক।


সরকারের দাবি, বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে, তাই দেশেও তেলের দাম বাড়াতে হয়েছে। কিন্তু ১৮ আগস্টের সংবাদ মাধ্যম বলছে, জ্বালানি তেলের দাম আট মাসে সর্বনিম্ন। আন্তর্জাতিক বাজারে কিছুদিন ধরেই ধাপে ধাপে জ্বালানি তেলের দাম কমে আসছিল। হঠাৎ দুই-একবার বাড়লে সেই অজুহাতে দেশে তেলের দাম বাড়ানো হয়। কিন্তু এখন যে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমেছে সেটা নিয়ে কোনো কথা নেই।


আমাদের সব কিছুই সয়ে যায়। পেটে কিছু পড়ুক আর না-ই পড়ুক, পিঠে আমাদের সব কিছুই সয়ে গেছে। বাজারে সব কিছুর দাম চড়া এবং তা যথারীতি মেনে নেওয়ার মতো মানসিক শক্তিও আমরা অর্জন করে ফেলেছি। করোনার দুই বছরে নিত্য পণ্যের দাম কোথায় এসে ঠেকেছে তা আমরা জানি। কিন্তু কোথায় তা ছিল তা আমরা বেমালমু ভুলে গেছি।


এতকিছুর ভেতর দিয়েও দেশ এগুচ্ছে। কিন্তু কোন দিকে এগুচ্ছে সে নিয়ে দেশে দুটি বিবদমান পক্ষ আছে। এক পক্ষ বলছে, দেশ সিঙ্গাপুর, কানাডা হয়ে গেছে। আরেক পক্ষের দাবি, দেশ শ্রীলঙ্কা হওয়ার পথে। আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতি ও টকশো’র বিষয়বস্তুও সিঙ্গাপুর-শ্রীলঙ্কা নিয়েই। কিন্তু সাধারণ মানুষের অবস্থা দুই দেশের মতোই। আমাদের আয় শ্রীলঙ্কার মতো, আর ব্যয় সিঙ্গাপুরে মতো। এ দুয়ের মাঝে পড়ে আমাদের ত্রাহি-ত্রাহি অবস্থা।


নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন-লাগা অবস্থার মধ্যেই আমরা শুনছি বিদ্যুৎ ও পানির দাম আরেক দফা বাড়তে পারে। এটাই স্বাভাবিক। এর আগেও তাই হয়েছে। দেশে টাকা নাই। ব্যাংকে রিজার্ভ নাই। ট্যাংকে তেল নেই। দেশ চালাতে টাকা লাগে। তেল কিনতেও টাকা লাগে। সরকার তো আর নিজের পকেটের পয়সা খরচ করে দেশ চালাবে না, আর সুইচ ব্যাংকের টাকায়ও দেশ চলে না। জনগণের টাকায়ই দেশ চলে। জনগণ থেকে দ্রুত টাকা তোলার উপায় হচ্ছে জ্বালানি তেল, গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ তথা ইউটিলিটির দাম বাড়ানো।


গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির বিল বাড়িয়ে দিলে এক মাসের মধ্যেই তেলের রিজার্ভ ট্যাংক ও বিজার্ভ ব্যাংক দুটোতেই এর একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। এর আগে যতোবারই তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে, ততোবারই বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম। কখনো কখনো হয়তো শুধু বিদ্যুতের দামই বাড়ানো হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও