গার্ডার চাপায় মৃত্যু, সেফটি কালচার নেই কেন আমাদের?

প্রথম আলো মো. শফিকুল ইসলাম প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট ২০২২, ০৮:০৫

সেফটি বা নিরাপত্তা বলতে আমরা বুঝি, যন্ত্রপাতি ঠিকমতো আছে কি না, রক্ষণাবেক্ষণ করছে কি না, আধুনিক কি না ইত্যাদি। সেফটির নীতি হচ্ছে, যেকোনো দুর্ঘটনা থেকে মানুষ, সমাজ কিংবা পরিবেশকে সুরক্ষা প্রদান করা। কিন্তু এই সুরক্ষা নিশ্চিত করা কি কেবল যন্ত্রপাতি দিয়ে সম্ভব? তাহলে ধরুন, আপনি আধুনিক যন্ত্রপাতি কিনলেন কিন্তু দক্ষ ও সঠিক জ্ঞানসম্পন্ন জনবল নেই, সঠিক পরিকল্পনা নেই, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই, তাহলে কি আপনার এই আধুনিক যন্ত্রপাতি আপনার, আপনার প্রতিষ্ঠানের কিংবা মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে? নিশ্চয়ই না!


১৫ আগস্ট রাজধানীর উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পে ক্রেন ছিঁড়ে একটি গার্ডার পড়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মর্মান্তিক মৃত্যু, চকবাজারে প্লাস্টিক কারখানায় আগুন লেগে ৬ শ্রমিকের অকালমৃত্যু এবং গুলিস্তানে হল মার্কেটের নির্মাণকাজের রড পড়ে বেশ কয়েকজন পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন। এভাবে প্রতিদিনই দেখছি সড়ক, নৌ, অগ্নিদুর্ঘটনা ও বিল্ডিং ধসে শত শত মানুষের মৃত্যু, হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি ও পরিবেশের বিপর্যয়। এই দুর্ঘটনার হার প্রতিদিনই বাড়ছে। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই দ্রুত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার জন্য জোর দাবি জানাই, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ করার জন্য হইচই করি। এই করলে, সেই করলে দুর্ঘটনা রোধ হবে বলে চিৎকার করতে থাকি। দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির জন্য সভা-সমাবেশ করি। কিছুদিন পর আবার আমরা হারিয়ে যাই। যে অবস্থায় ছিল, আবার সেই অবস্থায় থাকে সবকিছু। নিয়ম থাকে কিতাবের জায়গায়, পরিদর্শক থাকে পরিদর্শকের জায়গায়, ব্যবস্থাপক থাকে ব্যবস্থাপকের জায়গায়। আবার যা হওয়ার, তা–ই হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও