কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

তেলের দাম ও মুনাফা বনাম জনগণের ব্যয়

দেশ রূপান্তর রাজেকুজ্জামান রতন প্রকাশিত: ১৬ আগস্ট ২০২২, ০৯:৫৪

রেকর্ড করতে এবং রেকর্ড গড়তে চায় সবাই। যদিও সবকিছুর রেকর্ড করা ভালো নয়। দেশে নতুন নতুন নানা রেকর্ড সৃষ্টি হওয়া দেখে এই কথা মানবেন অনেকেই। যেমন জ্বালানি তেলের দাম ৪২ থেকে ৫২ শতাংশ বাড়ানো দেশের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় ঘটনা। এটি একটি নতুন রেকর্ড। সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকার পরিমাণ বেড়েছে। এটিও রেকর্ড। আর জনগণের দুর্দশা বেড়েছে এই রেকর্ডের কথা বললে অনেকেই হই হই করে বলবেন আগে যে আরও খারাপ ছিল তা বলবেন না?


ক্ষমতাসীনদের কেউ স্বীকার করতে না চাইলেও বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ কারণে দেশের অর্থনীতি এখন চরম চাপে আছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্বসহ নানা সমস্যায় মানুষ জর্জরিত। এমন সময় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দেবে। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ভুগবে নিম্ন আয়ের ও নির্ধারিত আয়ের মানুষ। বাজারে সব পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। কৃষি উৎপাদন খরচ বাড়বে এবং দেশে কৃষি উৎপাদন কমলে আমদানি বাড়বে। ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হলে রপ্তানি কমবে। মূল্যবৃদ্ধির ফলে এখন এক লিটার ডিজেল ও কেরোসিন কিনতে ১১৪ টাকা লাগবে। এক লিটার অকটেনের জন্য দিতে হবে ১৩৫ টাকা। আর প্রতি লিটার পেট্রলের দাম হবে ১৩০ টাকা।


মন্ত্রী বলছেন নিরুপায় হয়ে তারা এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটিয়েছেন। কারণ বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে, লোকসান বেড়ে যাচ্ছে সেটা না কমালে দেউলিয়া হয়ে যাবে বিপিসি আর দাম না বাড়ালে ভারতে তেল পাচার হয়ে যাবে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী তেলের দাম কমে যাওয়া এবং দরপতনের সঙ্গে মন্ত্রীর কথার তো কোনো মিল পাওয়া যাচ্ছে না। অতীতে যখন দাম কমে গিয়েছিল তখন যে প্রায় ৪৭ হাজার কোটি টাকা লাভ হয়েছিল তার সুফল যেমন জনগণ পায়নি আবার এখন দাম যে কমতির দিকে তার কারণেও স্বস্তি পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ।


ডিজেলের দাম বিশ্ববাজারে ব্যারেলে ১৭০ ডলার থেকে নেমে ১৩০ ডলারে নেমে এসেছে। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমে ১০০ ডলারের মধ্যে এসেছে।


এই দর আরও কমবে এবং ৭০ থেকে ৮০ ডলারে নামতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।


বিশ্ববাজারে যখন দাম পড়তির দিকে তখন দ্রব্যমূল্যের কশাঘাতে জর্জরিত সাধারণ মানুষের জীবনে পেট্রো পণ্যের এই উচ্চহারে মূল্যবৃদ্ধি মরণ আঘাতের মতো মনে হবে। নাগরিক জীবনে এর প্রভাব পড়বে বিদ্যুতের দাম, পানির দাম, পরিবহন ব্যয়, খাদ্যপণ্যের দামসহ জীবনের সব ক্ষেত্রে। কারণ বিপিসির বিক্রি করা মোট জ্বালানি তেলের ৬৫ শতাংশ ব্যবহার করে পরিবহন খাত। প্রায় ১৬ শতাংশ ব্যবহৃত হয় কৃষি খাতে। শিল্প খাতে ৭ ও বিদ্যুৎ খাতে ১০ শতাংশ তেল ব্যবহৃত হয়।


পরিবহনে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। দূরপাল্লার ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটার ৪০ পয়সা আর মহানগরে প্রতি কিলোমিটারে ৩৫ পয়সা। সরকার পরিবহন মালিক সমিতির সঙ্গে বৈঠক করে যে ভাড়া বৃদ্ধি করেছে তা তেলের মূল্যবৃদ্ধির তুলনায় অনেক বেশি। যেমন ঢাকা-রংপুর দূরত্ব ধরা হয় ৩০৮ কিলোমিটার। এক লিটার ডিজেলে নাকি মহাসড়কে সোয়া তিন কিলোমিটার চলে। এই হিসাব ধরে রংপুর যেতে তেল লাগবে ৯৪ লিটার। প্রতি লিটারে দাম বেড়েছে ৩৪ টাকা, ফলে প্রতি ট্রিপে খরচ বাড়বে ৩২০০ টাকা। ৪০ সিটের বাসে নাকি ২৮ জন যাত্রী যাওয়া-আসা করে। তাহলে ভাড়া বাড়ানোর কথা ১১৪ টাকা। সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে ১৫৭ টাকা, আর মালিকরা যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করছে ২০০ টাকা বেশি। ঢাকা মহানগরে প্রতি কিলোমিটার ২.৫০ টাকা আর সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। প্রেস ক্লাব থেকে শাহবাগ দেড় কিলোমিটারের মতো, ভাড়া হওয়ার কথা ৩ টাকা ৭৫ পয়সা। কিন্তু মালিকদের স্বার্থে সরকার যে ভাড়া নির্ধারণ করেছে, মালিকরা নিচ্ছে তার চেয়েও বেশি।  

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও