খুনিদের ভয় ছিল বিমানবন্দরের পথে তাঁদের গুলি করে মারা হবে

প্রথম আলো যাহিদ হোসেন প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০২২, ১৫:২২

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবার মর্মন্তুদ হত্যাকাণ্ডের সময়ে যাহিদ হোসেন ছিলেন আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের পরিচালক। ৪ নভেম্বর পর্যন্ত দাপ্তরিক কাজে তাঁকে নিয়মিত বঙ্গভবনে যেতে হয়েছে। তিনি সেই তিন মাসের ঘটনার নীরব সাক্ষী। প্রথম আলোর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন অজানা বহু কথা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সোহরাব হাসান


প্রথম আলো: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আপনি কোন দায়িত্বে ছিলেন? বঙ্গবন্ধুর হত্যার কথা কখন জানতে পারলেন?


যাহিদ হোসেন: আমি আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগের (আইএসপিআর) পরিচালক পদে ছিলাম। আমাদের অফিস ছিল পুরোনো হাইকোর্ট ভবনে। জনসংযোগ বিভাগে তখন সেনাবাহিনীর কোনো কর্মকর্তা ছিলেন না। আমি ছাড়া সেখানে একজন উপপরিচালক আর চারজন সহকারী পরিচালক ছিলেন। সবাই বেসামরিক ব্যক্তি।


প্রথম আলো: ১৫ আগস্ট যে ভয়ংকর কিছু ঘটতে যাচ্ছে, আপনারা কি তেমন কিছু আঁচ করতে পেরেছিলেন? কিছু শুনেছিলেন?


যাহিদ হোসেন: সে সময় জাসদ নেতা মেজর (অব.) আবদুল জলিল আর কর্নেল (অব.) আবু তাহেরের সমর্থকেরা গণবাহিনী গঠন করেছেন। সেনানিবাসের ভেতরেও গণবাহিনী তৎপর ছিল। আমার কাছে এ সম্পর্কে কিছু কিছু খবর আসত। রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব ছিলেন কর্নেল জামিল। তাঁর সঙ্গে নানা বিষয়ে আলোচনা হতো।


প্রথম আলো: ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের খবর প্রথম কখন পেলেন?


যাহিদ হোসেন: আমার বাসা তখন ছিল সেনানিবাসের ভেতরে। আমার এক আত্মীয় থাকতেন ধানমন্ডিতে। ভোর পাঁচটায় টেলিফোন করে তিনি বললেন, গোলাগুলি হচ্ছে। আমি তখনই আমার বন্ধু ঢাকার এসপি মাহবুবউদ্দিন আহমদকে ফোন করি। তিনিও জানালেন, গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন। এর কিছুক্ষণ পর বেতারে মেজর ডালিমের ঘোষণা শুনে স্তব্ধ হয়ে গেলাম। আমার ছোটবেলার বন্ধু মেজর মকবুল হায়দার ডিজিএফআই অফিসে কর্মরত ছিলেন। তিনি আমার বাসায় এলেন সন্ধ্যা ছয়টায়। ওর কাছে শুনলাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে কীভাবে সবার লাশ ফেলে রাখা হয়েছিল। সেদিনই প্রতিরক্ষাসচিব মুজিবুল হককে ফোন করি। তিনি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি নির্দেশ দিলেন, ‘বাসায় থেকো।’ পরে অফিস খুললে অফিসে যাই। ১৮ আগস্ট ডেপুটি সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের বাসায় গেলাম। জিয়ার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা ও বন্ধুত্ব হয় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়। পারিবারিক পর্যায়ে আমাদের ঘনিষ্ঠতা ছিল। পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা হয়। একপর্যায়ে জিজ্ঞেস করলাম, আপনারা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জাতির জনককে কেন রক্ষা করতে পারলেন না? জবাবে জিয়া বললেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনো সম্পর্ক নেই। যাঁরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগই সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়া কিংবা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তাঁদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তাও আছেন। এরপর তিনি ড্রয়িংরুমের উল্টো দিকে ডাইনিং রুমে নিয়ে গিয়ে দেয়ালে টাঙানো বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাঁর অন্তরঙ্গ একটি ছবি দেখিয়ে বললেন, আমাকে অতটা অকৃতজ্ঞ ভাববেন না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও