কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বহ্নিমান শোকের ১৫ আগস্ট

জাগো নিউজ ২৪ আব্দুর রহমান প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০২২, ১০:২৮

শিক্ষাবিদ ও দার্শনিক সরদার ফজলুল করিম বলেছিলেন, "শেখ মুজিবকে আমরা ঈর্ষা করেছি আমাদের অতিক্রম করে বড় হওয়াতে। সবদিকে বড়। তেজে, সাহসে, স্নেহে, ভালোবাসায় এবং দুর্বলতায়, সবদিকে এবং সেই ঈর্ষা থেকেই আমরা তাঁকে হত্যা করেছি। কেবল এই কথাটি বুঝিনি যে, ঈর্ষায় পীড়িত হয়ে ঈর্ষিতের স্থান দখল করা যায় না। তাইতো এই ভূখণ্ডে মুজিবের স্থায়ী অবস্থান মধ্যগগনে এবং তাঁর নাম শুনে শোষকের সিংহাসন কাঁপে।"


আজ ১৫ আগস্ট। আজ বাংলা ও বাঙালির ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কিত দিন। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষন নিপীড়নের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৩ বছরের রাজনৈতিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বুকে গৌরবদীপ্ত জাতি হিসেবে বাঙালি প্রতিভাত হয়। অথচ স্বাধীনতা লাভের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় সেই জাতিই তার আপন মুক্তিদাতাকে, স্বাধীনতার মহান স্থপতিকে নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যার মধ্য বিশ্বের বুকে একটি কলঙ্কিত জাতি হিসেবে নাম লেখায়। বাংলা মায়ের কতিপয় অকৃতজ্ঞ কুসন্তানের বর্বরতায় বিশ্ববাসী স্থম্ভিত হয়, বঙ্গবন্ধুহীন বাংলার সাধারণ মানুষ হয়ে যায় দিশেহারা। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বাঙালি হারিয়েছে তাদের জাতির পিতাকে, তাদের অভিভাবককে; আর বিশ্ববাসী হারিয়েছে বঞ্চিত মানুষের মুক্তির পক্ষের উন্নতশির এক সুমহান নেতাকে।


আগস্ট আমাদের সব হারানোর মাস। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে আমাদের সবকিছু কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। যখনই আগস্ট আমাদের সামনে আসে- তখন নেমে আসে অন্ধকার। সামনে আসে এক রক্তাক্ত বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস, আগস্ট আসলেই আমরা ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাই।


বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাঁর আদর্শের সৈনিক হিসেবে শপথ নিয়েছিলাম- যদি কেউ পিতার হত্যার প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের আহ্বান করেন, তাহলে ঝাঁপিয়ে পড়ব। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য সেদিন কেউ এ আাহ্বান জানায়নি। সেদিন আমরা বিছিন্ন-বিক্ষিপ্তভাবে আন্দোলন করেছি। যতটুকু পারি হত্যার প্রতিশোধের নেশায় প্রতিরোধের সংগ্রামে হাজির হয়েছিলাম।


সেদিন ওই ঘাতকেরা বলেছিল- বাংলার মাটিতে কোনোদিন শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বিচার হবে না। ওই খুনিচক্ররা সেদিন বলেছিল- এমন কোনো শক্তি নেই, যারা বাংলার মাটিতে নতুন করে জয় বাংলার শ্লোগান দেয়। এমন কোনো শক্তি নেই যারা বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চাারণ করবে। সেদিন তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে তার নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু নিজ কর্মগুণে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছেন। বিশ্বের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের হৃদয়ে তিনি স্থান করে নিয়েছেন।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও