আওয়ামী লীগের আদর্শিক বন্ধু কে

প্রথম আলো সোহরাব হাসান প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট ২০২২, ১৪:১৫

১১ আগস্ট কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক জরুরি সভা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ১৪-দলীয় জোট সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তা জাতীয় রাজনীতির নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত কি না, কে জানে। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের জোট তো নির্বাচনী জোট। সেটা তো কৌশলগত জোট। সেখানে আদর্শের কোনো বিষয় নেই। তাহলে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমরা কেন জোট করেছি? এসব ব্যাপার তো ভাবতে হবে।’


স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, তাহলে আওয়ামী লীগের আদর্শিক জোট কোনটি? তাদের আদর্শিক বন্ধু কে? এ বিষয়ে দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আব্দুল জলিলের একটি কথাও মনে পড়ল। তিনি বলেছিলেন, ১৪ দল একসঙ্গে আন্দোলন করবে, একসঙ্গে নির্বাচন করবে এবং একসঙ্গে সরকার গঠন করবে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ যে ১৪ দলের শরিকদের নিয়ে সরকার গঠন করেছিল, তা-ও কি নিছক কৌশলগত? আওয়ামী লীগ অতীতে আদর্শগত ও কৌশলগত তত্ত্ব সামনে রেখে বহুবার জোট করেছে। আবার ভেঙেছেও।


এখন ওবায়দুল কাদের যা-ই বলুন না কেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের বিরুদ্ধে ‘আদর্শিক’ জোট হিসেবেই ১৪ দলের আবির্ভাব ঘটেছিল। ২০০৫ সালের ২২ নভেম্বর পল্টন ময়দানে জনসভা করে তারা ২৩ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে। যার মধ্যে ছিল নির্বাচন কমিশনের সংস্কার; কালোটাকা, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা; একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা; দেশকে উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির হাত থেকে রক্ষা করতে সরকার ও প্রশাসনের সর্বস্তর থেকে ওই শক্তির অপসারণ; যুদ্ধাপরাধীদের বিচার; সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা এবং ধর্ম, মুক্তচিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ বন্ধ করা। এসবের পেছনে কি কোনো আদর্শ ছিল না?


আওয়ামী লীগ নেতারা এত দিন ১৪ দলকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলে দাবি করে আসছিলেন। এখন তাঁরা বলছেন ১৪ দল আদর্শিক জোট নয়। তাহলে কারা তাদের আদর্শিক মিত্র? কাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আদর্শের ঐক্য গড়ে তুলতে চায়?


১৪ দলের অন্যতম অঙ্গীকার ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করা। অথচ আওয়ামী লীগ আমলেই কিছুদিন পরপর সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটে চলেছে। গত বছর দুর্গোৎসবের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলা হয়। কিন্তু কোনোটায় এখনো কেউ শাস্তি পায়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের একজন সাবেক মন্ত্রী হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের চোখ তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। অনেক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও জমি দখলের অভিযোগ আছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও