কে খেলছে আগুন নিয়ে, চীন নাকি আমেরিকা
ভূরাজনৈতিক হিসাব-নিকাশের ক্ষেত্রে কৌশলগতভাবে অতিগুরুত্বপূর্ণ (জিওপলিটিক্যাল হটস্পট) একটা জায়গায় আগুন লেগে গেলে সেটা নিয়ে অনেকেরই, বিশেষ করে শক্তিমানদের খেলতে চাওয়ারই কথা, খেলছেও তারা। আগুন কেন, কীভাবে লাগল, কে লাগাল—এ আলোচনায় আসছি পরে।
আগুন নিয়ে খেলার অভিযোগ সম্প্রতি এসেছে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের মুখ থেকে। কয়েক দিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপে সি চিন পিং বাইডেনকে তাইওয়ান প্রসঙ্গে হুমকি দিয়ে বলেছেন, আগুন নিয়ে তাঁরা যেন না খেলেন, এতে তাঁরা পুড়ে যাবেন। সির এমন কথা নতুন নয়, আগেও বাইডেনকে এ হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।
কয়েক দিন আগে বাইডেন আর সির টেলিফোন সংলাপের পর দুই দেশের যে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশিত হয়, তাতে ন্যান্সি পেলোসির সফরকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের কথা আমেরিকার বিবৃতিতে ছিল না। চীন তার বিবৃতিতে ‘আগুন নিয়ে খেলাকে’ খুব গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে। এ ঘটনা চীনের ‘উলফ ওয়ারিয়র ডিপ্লোমেসি’র এক চমৎকার প্রদর্শনী। এটা চীনের আগের সরকারগুলোর সময়কার প্রথাগত কূটনৈতিক পদ্ধতির বিপরীতে সি সরকারের অনুসৃত আগ্রাসী, আক্রমণাত্মক পররাষ্ট্রনীতি।