কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রশ্নগুলো সহজ আর উত্তরও জানা

www.ajkerpatrika.com আব্দুর রাজ্জাক প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০২২, ১২:২৫

আমার একটি অভ্যাস আছে ছোটবেলা থেকেই, অপরিচিত মানুষের সঙ্গে আলাপ করে মনের ভাব আদান-প্রদান করা।



বেশ কয়েক বছর আগে আমি রিকশায় করে বাসায় ফিরতে প্রচণ্ড যানজটের মধ্যে পড়ে গেলাম, গাড়ি, রিকশা চতুর্দিকে, সবাই শুধু হাঁকডাক করছে কিন্তু যানজট ছাড়ছে না।



আমার স্বভাবমতো রিকশাওয়ালার কাছে জিজ্ঞেস করলাম, ‘আমাদের এই শহরে এত যানজটের কারণ কী?’



রিকশাওয়ালা উত্তর দিয়েছিলেন, ‘বর্তমান ট্রাফিক পুলিশ যা করে, সেটার বিপরীত কাজটি করলে রাস্তায় কোনো যানজট থাকবে না।’


আমি বললাম, ‘যেমন?’


রিকশাওয়ালার উত্তর, ‘এখন ট্রাফিক পুলিশ আমাদের শরীরে দুটি আঘাত করে, বড়লোক যারা গাড়ি চালায়, তারা আইন অমান্য করলে ৫০০ টাকা জরিমানা করে। আমার শরীরে দুটি আঘাতে কিছু আসে যায় না, আমরা অভ্যস্ত। বড়লোক, যার গাড়ি আছে, তার ৫০০ টাকা জরিমানা দিতে কোনো কষ্ট হয় না, সে ওটায় অভ্যস্ত। আমাদের রাস্তায় এই অভ্যস্ত কাজ অব্যাহত থাকার দরুন, রাস্তায় যানজট লেগে থাকে।’


একদিন এক ভাড়া করা গাড়িতে করে মিরপুর যাচ্ছি, চালক একটু বয়স্ক, কথাবার্তা শুনে ভালো মনে হলো। আমার সঙ্গে আলাপচারিতায় জিজ্ঞেস করলাম, ‘আপনি এই পেশায় কত দিন?’


উত্তরে চালক বললেন, ‘এই পেশায় আসার এক বছর আগে এক বড় কর্মকর্তার গাড়িচালক ছিলাম।’ আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘ওই চাকরি আপনি ছাড়লেন কেন?’


চালক বললেন, ‘স্যার, বড়লোকের কথা কিছু বুঝি না, আমার আগের সাহেব তাঁর ছেলেকে আমেরিকায় পড়তে পাঠিয়েছেন, সবার কাছে বলে বৃত্তি নিয়ে পড়তে গেছে। ঘরের মধ্যে কথা বলার সময় আমি শুনলাম, মোট টিউশন ফির পঞ্চাশ ভাগ বৃত্তি পাবে, বাকি পঞ্চাশ ভাগ নিজেদের দিতে হবে, এই পঞ্চাশ ভাগ ও থাকা-খাওয়ার জন্য বছরে ৩০ লাখ টাকার ব্যাপার।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও