কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রধানমন্ত্রীর চায়ের দাওয়াত, গণতন্ত্র, উন্নয়ন এবং প্রশ্নবিদ্ধ সুশাসন

বিডি নিউজ ২৪ বিভুরঞ্জন সরকার প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২২, ২০:৪৩

আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির অবস্থান এখন বিপরীতমুখী হলেও এ দুই দলের মুখোমুখি আলোচনার টেবিলে বসার কি কোনো সম্ভাবনা আছে? আমাদের দেশে রাজনৈতিক সুবিধাবাদকে প্রশ্রয় দিয়ে একটি কথা চালু করা হয়েছে যে, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। আদর্শমুখী রাজনীতিতে শেষ কথা অবশ্যই আছে।


সব দলেরই কিছু কিছু মৌলিক বিশ্বাসের জায়গা আছে, যেখান থেকে তাদের পিছু হঠার কথা নয়। কিন্তু আজকাল কেউ আর আদর্শের সীমারেখা মানতে চায় না। প্রকাশ্যে গরম গরম কথা বলে গোপনে সমঝোতার পথ খোঁজার কারণেই রাজনীতি নিয়ে কোনো ভবিষ্যৎ বাণী করা কঠিন।


তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কিছুটা কৌতূহল তৈরি হয়েছে। ২৩ জুলাই আওয়ামী লীগের এক যৌথ সভায় বিএনপি যদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি গ্রহণ করে তাহলে ‘বাধা দেওয়া হবে না’ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলামোটরে বিরোধী দলের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার যে রীতি চালু হয়েছে, সেটার বিপরীতে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, “আসুক না হেঁটে হেঁটে যত দূর আসতে পারে। কোনো আপত্তি নেই। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে কোনো বাধা নেই।” প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় পর্যন্ত বিএনপি নেতারা গেলে তাদের বসিয়ে চা খাওয়াবেন বলেও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকি কথা বলতে চাইলে তিনি তা শুনবেনও। তবে তিনি এাটও বলেছেন, বোমাবাজি ও ভাঙচুর করলে ‘বাধা দেবো এবং উপযুক্ত জবাব পাবে। এটাই বাস্তবতা।’


প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য স্পষ্ট ও পরিষ্কার। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলে বাধা নেই, অশান্তি করার চেষ্টা বাধা ও উপযুক্ত জবাব। কিন্তু শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার অঙ্গীকার বিএনপির পক্ষে করা সম্ভব নয়। বিএনপি আগে প্রমাণ করেছে বোমাবাজি, ভাঙচুর, আগুন -এসব ছাড়া তারা আন্দোলনের কথা ভাবতেও পারে না। শ্রীলঙ্কায় যে সম্প্রতি অভূতপূর্ব জনজাগরণ দেখা গেল সেখানে কি একজন আন্দোলনকারীকেও বোমা এমনকি কোনো স্থাপনা লক্ষ করে একটি ঢিলও ছুঁড়তে দেখা গেছে?


যাহোক, প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে রাজনীতির কোনও কোনও পর্যবেক্ষক অবশ্য কিছুটা ইতিবাচক ইংগিত লক্ষ্য করছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে দরোজা খোলা রাখার কৌশল হয়তো নেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে। আবার কেউ কেউ এমনও মনে করছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে খুব গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকে চা খাওয়ানোর কথা ভেবেচিন্তেই বলেছেন। কারণ তিনি জানেন, বিএনপি তার চায়ের দাওয়াত কবুল করবে না। বিএনপি জানে, শেখ হাসিনার চা খেতে গেলে দাবি আদায়ের আশা আর থাকবে না।


বিএনপি আর যাই করুক, শেখ হাসিনার কোনো প্রস্তাবে রাজি হবে না। বিএনপি হয়তো এতদিনে এটা বুঝতে পেরেছে যে রাজনৈতিক কৌশলে তারা আওয়ামী লীগের থেকে পিছিয়েই আছে। গত কয় বছরে, বিশেষ করে ২০১৪-১৫ সালে আওয়ামী লীগকে জাপটে ধরার কম কোশেশ তারা করেনি। কিন্তু ব্যাপক জ্বালাওপোড়াও করেও সফল হতে পারেনি। বিএনপির বজ্রআঁটুনিকে ফস্কা গেড়ো বানিয়ে দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও