বিচারের পাশাপাশি আরও দায়িত্ব নিতে হবে
প্রতিদিনই কোনো না কোনো জায়গায় নারীরা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন, এমন খবর আমরা পাই। তবে যখন এই ঘটনাগুলো বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ঘটে তখন মানুষের হাহাকার যেন অনেকটাই বেড়ে যায় এবং হতাশার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়, যদি সেই যৌন নিপীড়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী কিংবা শিক্ষার্থী হন। এই হাহাকার রবের পেছনে যে মনুষ্যত্ব কাজ করে তা হলো আমাদের মধ্যে ধারণা আছে যে, এগুলো ‘শিক্ষিত’ মানুষ করে না। এর বিপরীতে গিয়ে আমাদের মনে রাখতে হবে যে, যৌন নিপীড়ন কিংবা হয়রানি সব শ্রেণি, সমাজ এবং সম্প্রদায়েই হতে পারে।
গত সপ্তাহজুড়ে আলোচিত ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে এক ছাত্রী তার ক্যাম্পাসের ভেতরেই যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সূত্র আনুযায়ী ক্যাম্পাসে বন্ধুদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনে ঘুরতে এসেছিলেন সেই শিক্ষার্থী। সেখানে ৫ জন ওই নারী শিক্ষার্থীকে বেঁধে বিবস্ত্র করে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে। সেখানেই থেমে থাকেনি তাদের কাজ। তারা সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।