You have reached your daily news limit

Please log in to continue


আওয়ামী লীগ তো বিজেপি নয়

ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাবেক মুখপাত্র নূপুর শর্মা যে হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলেছিলেন, তা কিন্তু মোটেই অসতর্ক মুহূর্তের মুখ ফসকানো নয়। নূপুর উচ্চশিক্ষিত মহিলা, তাঁর বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাঁর দল বিজেপিরও এতে সম্পূর্ণ সম্মতি ছিল, কোনো সন্দেহ নেই। পরে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশের প্রতিবাদের মুখে নূপুর শর্মাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে নানা মহল থেকে মামলাও করা হয়েছে, কিন্তু শেষ বিচারে বিজেপির উদ্দেশ্য সাধন হয়নি, এ কথা বলা যাবে না। কারণ, এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ভারতীয় মুসলমানরা ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখিয়েছ। যেখানে বাড়াবাড়ি হয়েছে, সেখানে পুলিশি ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। এমনকি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ‘বুলডোজার’ নীতি তো এখন বহুল আলোচিত। সমাজে সম্প্রীতি নষ্ট ও অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগে কানপুর ও শাহানপুরে আদিত্যনাথের প্রশাসন যে দুটি বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে, বলা বাহুল্য তা মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরই বাড়ি।

নূপুর শর্মাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলো বটে, কিন্তু তাঁর বক্তব্যের প্রতিবাদে মুসলিম সম্প্রদায়ের যে লোকজন ক্ষোভ-বিক্ষোভ করেছিল, তাদের শায়েস্তা করা হলো, উপরন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের কাছে এই বার্তাও দেওয়া গেল যে মুসলমানরা অসহিষ্ণু ও হিংসাপ্রবণ, এদের ‘লাইনে’ রাখতে হলে বিজেপির বিকল্প নেই। এক ঢিলে কয়েকটি পাখি মারার এসব কৌশল বিজেপিকে নিতেই হয়। বাবরি মসজিদ, কাশ্মীর, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ইত্যাদি বিদ্বেষ জাগানোর মতো ইস্যু না থাকলে, দেশের অনিয়ম, দুর্নীতি, বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানা ব্যর্থতার কথা ওঠে। তখন নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কথাও সজোরে বলতে থাকে বিরোধীরা। সামনে নির্বাচন থাকলে এসব কথা খুবই বিপদে ফেলে দেয় সরকারি দলের নীতিনির্ধারকদের। তাই সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের বহু পুরোনো ক্ষতটিতে সময়মতো খোঁচা দিলে তাৎক্ষণিক ফল পাওয়া যায়। নূপুর শর্মা দল থেকে বহিষ্কৃত হলেন বটে, তবে যাওয়ার আগে তাঁর প্রতি দলের অর্পিত দায়িত্বটিও পালন করে গেলেন তিনি।

কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তো বিজেপি নয়। ভারতে বিজেপির হিন্দু জাতীয়তাবাদ আর রামরাজত্ব প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন এখন আর লুকোছাপার কোনো বিষয় নয়। রাষ্ট্রক্ষমতায় একটি সাম্প্রদায়িক দল থাকলে সেখানকার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অবস্থা কী হতে পারে, তার উদাহরণ যেমন বিজেপিশাসিত ভারতে আমরা দেখছি, তেমনি দেখেছিলাম স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের আমলেও। ১৯৯০ সালে অযোধ্যায় উগ্রপন্থী হিন্দুরা বাবরি মসজিদে হামলা চালানোর পর জাতীয় পার্টির নেতা শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের উসকানিমূলক বক্তব্য আমরা যেমন শুনেছি, তেমনি দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি দলের মদদে কীভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনালয় থেকে শুরু করে ঘরবাড়ি আক্রান্ত হয়েছিল, সেটাও দেখেছি। এই বাবরি মসজিদ নিয়েই এ দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর আরেক দফা হামলার ঘটনা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি ১৯৯২ সালে বিএনপি সরকারের আমলে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন