আসক্তি বাড়াচ্ছে খুচরা বিক্রি
বাঙালির অভ্যাসজুড়েই আছে টং দোকানের চা আর তুমুল আড্ডা। অনেকে নিঃসঙ্গতা কাটাতে টং দোকানের বেঞ্চে বসে একা একাই চা পান করেন। আর কান পেতে থাকেন আড্ডার বিষয়বস্তুর ওপর। পরিচিত কিংবা অপরিচিত যে-ই হোক, আড্ডায় নিজের পছন্দের আলাপ শুরু হলেই তিনি তাতে গলা মেলান। তবে সিগারেটের ধোঁয়ার চাদরে মোড়ানো টং দোকানগুলোতে বরাবরই দু-একজন ক্রেতা থাকেন। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে তুমুল তর্ক-বিতর্ক শেষে এক কাপ চা আর দু-তিনটি সিগারেটের বিল মিটিয়ে একদল দোকান ছেড়ে গেলে আরেক দল এসে বেঞ্চে বসে যায়।
মাঝে মাঝে ধূমপানে আসক্ত কিশোরেরা একটা সিগারেট কিনে এদিক-ওদিক তাকিয়ে পাশের গলিতে হারিয়ে যায়। নিত্যদিনের হওয়ায় দৃশ্যটা সবার কাছে খুব সাধারণ ব্যাপার হয়ে উঠেছে। কিন্তু সবাই জানে ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলো। তারপর প্রতিবছর জাতীয় বাজেটে তামাক এবং তামাকজাত পণ্যের ওপর অতিরিক্ত করারোপ করা হয়। তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো নানা সেমিনারে তামাকপণ্যের দাম বাড়ানোর দাবিও জানায়। কিন্তু ফলাফল শূন্য। টং দোকানে সিগারেটের বিক্রির পরিমাণ কমে না; বরং বাড়ে। এ ক্ষেত্রে সহজ-সরল উত্তর দেওয়াই যায় যে মানুষ বাড়লে পণ্যের চাহিদা বাড়ে। কিন্তু ক্ষতিকর পণ্যের চাহিদা বাড়ুক, এটা কারও কাম্য নয়।