কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

জীবন এত ছোট কেনে?

প্রথম আলো সোহরাব হাসান প্রকাশিত: ১০ জুলাই ২০২২, ১৪:২৬

কয়েক দিন আগে পত্রিকায় খবরটি পড়ে শিউরে উঠেছিলাম। অনেক বছর আগে বাংলাদেশের এক দরিদ্র দম্পতি ভারতে গিয়েছিলেন জীবিকার সন্ধানে। কাজ খুঁজতে খুঁজতে তাঁদের ঠাঁই হয় রাজস্থানে। রাজমিস্ত্রির জোগালির কাজ করতেন তাঁরা। সেখানেই তাঁদের দুটি সন্তান হয়। দুজনই এখন কিশোরবয়সী। তারা কখনো বাংলাদেশ দেখেনি। বাংলাদেশে যে তাদের দাদুবাড়ি, তারা সেই গল্প শোনে। রাজস্থানের মরুভূমিতে বসে বাংলাদেশের গ্রামের কথা তাদের কাছে রূপকথার মতো মনে হয়। তারা মা–বাবার কাছে বায়না ধরল দাদুবাড়ি দেখবে। মা–বাবাও রাজি হলেন। দুই সন্তানকে নিয়ে তাঁরা পাড়ি জমালেন বাংলাদেশের পথে।


কীভাবে আসবেন? মা, বাবা, দুই সন্তান—কারোরই পাসপোর্ট–ভিসা নেই। বাবা সীমান্তে এসে দালাল ধরলেন। ৩০ হাজার টাকায় রফা হলো। সীমান্তরক্ষীর চোখ এড়িয়ে দালাল তাঁদের নদী পার করে দেবেন। রাতের অন্ধকারে নদী পার হতে হবে। নদী ছিল খরস্রোতা। মায়ের হাত ধরে দুই সন্তান নদী পার হচ্ছিল। বাবার মাথায় বাক্সপেটরা। তারা যখন মাঝনদীতে, তখন বিএসএফ টের পায়, কেউ নদী সাঁতরাচ্ছে। এরপর বিএসএফ সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়লে দালালরা চিৎকার করে দ্রুত নদী পার হতে বলেন। কিন্তু মা নদীর মাঝামাঝি আসতেই বুঝতে পারেন, তাঁর হাতে ধরা দুই সন্তান আর তাঁর সঙ্গে নেই। ভেসে গেছে। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানা গেল, দুই সন্তানের লাশ নদীর ওপারে ভেসে উঠেছে। বিএসএফের হেফাজতে আছে।


মা–বাবার আর সন্তানদের দাদুবাড়ি দেখানো হলো না। তাঁরা এখন অন্য বাড়ির বাসিন্দা। মা–বাবা যেখানেই থাকুন, সন্তানদের আর ফিরে পাবেন না। সন্তানের শূন্যতা নিয়েই বাকি জীবন কাটাতে হবে। এই সীমান্তপথেই কিশোরী ফেলানি দেশে ফিরতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে মারা গিয়েছিল।


আরেকটি মর্মান্তিক খবর। স্বামীকে ভিডিওতে রেখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। পত্রিকার খবরে জানা যায়, সুনামগঞ্জ শহরে স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যা করেছেন মাহফুজা সাজনা নামের এক নারী। তাঁর স্বামী আমির হোসেন দিরাই থানার উপপরিদর্শক। বৃহস্পতিবার সকালে মাহফুজা তাঁকে ভিডিও কল দেন। এ সময় ফ্যানের সঙ্গে বাঁধা দড়ি দেখিয়ে বলেন, তিনি আত্মহত্যা করছেন। আমির হোসেন কল কেটে দিয়ে তখনই বিষয়টি বাড়ির মালিককে জানান। বাড়ির মালিক দরজা ভাঙার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে দরজা ভেঙে দেখতে পান, ফ্যানের সঙ্গে লাশ ঝুলছে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, এএসআই আমির হোসেন জামালগঞ্জ থানায় থাকতে কলেজপড়ুয়া মাহফুজার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে আমির হোসেন তাঁকে বিয়ে করেন। এটি তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে। আমির হোসেনের প্রথম স্ত্রী এই বিয়ে মানতে পারেননি। প্রথম স্ত্রী তাঁকে প্রায়ই বকাবকি করতেন। এ কারণেই কি মাহফুজা আত্মহত্যা করেছেন? মাত্র ২৪ বছর বয়সে একটি জীবন সাঙ্গ হলো।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও