ধর্ম, রাজনীতি ও গণ–উন্মাদনা

প্রথম আলো কামাল আহমেদ প্রকাশিত: ০৭ জুলাই ২০২২, ১৪:১২

নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে গণলাঞ্ছনা ও সাভারের আশুলিয়ায় হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে হত্যার ঘটনা দুটি নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে। তবে তা সীমিত আকারে বলেই মানতে হবে। নাগরিক সমাজের প্রগতিশীল অংশই মূলত এসব প্রতিবাদের উদ্যোক্তা ও অংশগ্রহণকারী। শিক্ষকদের পেশাদার সংগঠনগুলোর কয়েকটিও প্রতিবাদ জানিয়েছে। তবে তা–ও খুব জোরালো কিছু নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিবাদ আরও ক্ষীণ। প্রধানত, বামপন্থী দলগুলোই এ বিষয়ে সরব হয়েছে। প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল কার্যত নীরব—ধারণা করি, কৌশলগত কারণে।


কৌশলগত কারণ অবশ্য একটি নয়, একাধিক। সেগুলো কী হতে পারে? প্রথমত, ধর্মের প্রশ্ন জড়িত থাকলে ভোটের রাজনীতির ওপর নির্ভরশীল দলগুলো নেতৃত্বের ভূমিকা নেওয়ার চেয়ে জনপ্রতিক্রিয়া দ্বারা চালিত হওয়াকেই নিরাপদ বিবেচনা করে। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য হচ্ছে, ধর্ম বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় ধর্মীয় অনুভূতিকে রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্যই সবচেয়ে বেশি কাজে লাগানো হয়। নড়াইলের ঘটনা কিংবা তারও আগে মুন্সিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে হিন্দু শিক্ষক লাঞ্ছনার নজিরগুলোর কথা এখানে স্মরণ করা যায়। নির্মম বাস্তবতা হচ্ছে, সংখ্যালঘুদের ভরসা বলে কথিত রাজনৈতিক দলও এর ব্যতিক্রম নয়।


আপাতদৃশ্যে দেশে ধর্মের চর্চা বেড়েছে বলে কেউ কেউ যুক্তি দেন যে তার অনুষঙ্গ হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠের মধ্যে সাম্প্রদায়িক প্রবণতাও তৈরি হচ্ছে। তবে


সাম্প্রদায়িক প্রবণতা যেখানেই দৃশ্যমান হচ্ছে, সেখানেই নেপথ্যে রাজনীতির যোগসূত্রের অভিযোগ মেলে। আর তার সঙ্গে আছে রাজনীতির একচেটিয়াবাদ—ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করার প্রবণতা।


দ্বিতীয় যে কারণে রাজনৈতিক দলগুলো মৌনতার নীতি অনুসরণ করে, তা হচ্ছে স্কুল-কলেজে এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার পেছনেও আছে প্রাধান্য বিস্তারের রাজনীতি। দলীয় লোকদের ক্ষমতায়িত করা কিংবা সুবিধা দেওয়ার উদ্দেশ্য থেকেই কথিত বাধা অপসারণের জন্যই এ ধরনের দলাদলি ও নোংরামির ঘটনা ঘটানো হয়। নড়াইলের ঘটনার যেসব বিবরণ পাওয়া যাচ্ছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, অধ্যক্ষের শূন্য পদটি নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যেই একধরনের ঠান্ডা লড়াই চলছিল এবং তাতে স্থানীয় রাজনীতিরও প্রত্যক্ষ অথবা প্রচ্ছন্ন ভূমিকা রয়েছে। এসব বিবরণ প্রকাশ হয়ে পড়ার পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ স্থানীয় কমিটি থেকে একজনকে বহিষ্কারও করেছে, যিনি স্বপন কুমার বিশ্বাসের একজন সহকর্মী। অন্যদিকে সাভারের আশুলিয়ায় শিক্ষক উৎপল সরকারকে হত্যায় অভিযুক্ত কিশোর প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পরিষদের সভাপতির নাতি (শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা: সেই ছাত্রের নানা স্কুলের সভাপতি, চাচা পরিচালক, বাংলা ট্রিবিউন, ২৮ জুন, ২০২২)।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও