You have reached your daily news limit

Please log in to continue


শিক্ষা কেন পিছিয়ে, শিক্ষক কেন মার খান

কয়েক বছর থেকে দেখতে পাচ্ছি সারা দেশে সাম্প্রদায়িকতা ক্রমাগত বাড়ছে, মানুষের আচরণ সহিংস এবং অসহিষ্ণু হচ্ছে, অন্ধবিশ্বাস‌‌ ও আবেগে ভাসছে তরুণদের একটি অংশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ইউটিউব এবং টিকটকের মতো ভিডিও ভাগাভাগির প্ল্যাটফর্মে রুচির নিম্নগামিতার একটা প্রদর্শনী চলছে। এর বিপরীত চিত্রও আছে। হাওর অঞ্চলের বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষকে যখন শুধু মিডিয়া মনোযোগে রেখেছে, ১০০ কোটি টাকার মালিকদের রাডারে তাদের কোনো অস্তিত্বও যখন ধরা পড়েনি, কিছু তরুণই তাদের সহায়তায় এগিয়ে গেছেন। কিন্তু এই বিপরীত চিত্রটি এখন আর তিন দশক আগের মতো উজ্জ্বল নয়। উজ্জ্বল বরং উচ্ছৃঙ্খলতা, সহিংসতা, ঔদ্ধত্য এবং বীভৎসতার প্রাত্যহিক চিত্র। পদ্মা সেতু যেদিন সব যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়া হলো, কয়েক ঘণ্টায় যা ঘটল সেতুতে, সেগুলোর খণ্ড খণ্ড ছবি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, আমরা দিনে দিনে কত রুচিহীন হচ্ছি। বোধ ও বুদ্ধিহীন হচ্ছি। কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ, সে বিচারটাও আমরা হারিয়ে ফেলছি। এ ছবিগুলো হাসি-তামাশার নয়, ভয়ানক এক সংকটের, যা থেকে কারও পরিত্রাণ মিলবে না।

কিছুদিন আগে প্রথম আলো একটি গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করেছিল, যার শিরোনাম ছিল ‘সংস্কৃতির ক্ষেত্রে কি আমরা পরাজিত হচ্ছি?’ পরাজিত না হলেও আমরা যে ক্রমাগত ভূমি হারাচ্ছি, তা তো খুবই স্পষ্ট। একসময় সংস্কৃতি ছিল সপ্রাণ, এর চর্চা তরুণদের দিত সক্রিয়তার পাঠ, যা সহজেই সংস্কৃতির অঞ্চল থেকে প্রসারিত হতো রাজনীতি, সমাজচিন্তা এবং গণমানুষের অধিকার রক্ষার নানা কাজকর্মে। এখন সংস্কৃতি আক্রান্ত, এর পরিমণ্ডল সংকুচিত। গোলটেবিলে আমি একজন সাধারণ নাগরিক ও শিক্ষক হিসেবে কিছু উদ্বেগের কথা বলেছিলাম, যার ভিত্তি সেই ১৯৭৪ সাল থেকে আমার শিক্ষকজীবনের নানা অভিজ্ঞতা।

একসময় শিক্ষকেরা ছিলেন, যাকে বলে মানুষ গড়ার কারিগর। এটি ছিল অনেকের ব্রত। তাঁদের সমর্থন দিত সমাজ। কারণ সমাজ জানত, আলোকিত না হলে সত্যিকার মানুষ হওয়া যায় না। কিন্তু দিনে দিনে আলোটা ম্রিয়মাণ হতে থাকল। এখন সমাজে, সমাজ নিয়ন্ত্রণে, ক্ষমতার নানা অবস্থানে এমন সব মানুষ আছে, যারা মানুষ-অমানুষ পার্থক্যটাও বোঝে না। শিক্ষকদেরও মোটাদাগে সেই পরিবর্তন স্পর্শ করেছে। শিক্ষকতাকে ব্রত হিসেবে নিয়েছেন কতজন, সেই হিসাব নিতে গেলে কষ্ট পেতে হবে। একটি সমাজে যখন জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চার, সৃষ্টিশীলতায় এবং মানবিক সক্রিয়তায় উৎকর্ষ অর্জনের বিচারে সাফল্য মাপা হয় না; বরং অর্থ, ক্ষমতা এবং পণ্য পৃথিবীতে টিকে থাকার চালাকি আয়ত্ত করার সক্ষমতার পাল্লায় মাপা হয়, তখন মানুষ গড়ার কারিগরদের প্রয়োজন হয় না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন