অমুসলিমদের প্রতি উদারতা বিশ্বনবির অনন্য দৃষ্টান্ত

জাগো নিউজ ২৪ মাহমুদ আহমদ প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:১৮

বিশ্বনবি ও শ্রেষ্ঠনবি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষকে বিভক্তির বেড়াজাল থেকে মুক্ত করার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অতুলনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি মানুষকে ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী হিসেবে নয় বরং মানুষকে তিনি মানুষ হিসেবেই সম্মান করতেন।


মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশ্ববাসীর নেতা ছিলেন, তথাপি তিনি নিজ স্বার্থে কোনো প্রতিশোধ নিতেন না বরং শত্রুদের সাথে এবং বিধর্মীদের সাথেও উত্তম ব্যবহার করেছেন।


হজরত নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার উম্মতকেও এই নির্দেশই দিয়েছেন, তারাও যেন জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবার সাথে উত্তম আচরণ করে। মহানবির (সা.) অতুলনীয় জীবনাদর্শ থেকে কয়েকটি দৃষ্টান্ত তুলে ধরার চেষ্টা করব, যাতে আমরা সহজেই বুঝতে পারি ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সাথে তার ব্যবহার কেমন ছিল।


হজরত আবুবকর (রা.)এর কন্যা হজরত আসমা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে আমার অমুসলিম মা আমার কাছে এলেন। আমি মহানবিকে (সা.) জিজ্ঞেস করলাম-আমি কি তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করব? তিনি (সা.) বললেন, হ্যাঁ।’ (সহিহ বুখারি)


হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘একদা এক বেদুইন মসজিদে প্রস্রাব করলো। লোকেরা উঠে (তাকে মারার জন্য) তার দিকে গেল। মহানবী (সা.) বললেন, তার প্রস্রাব বন্ধ করো না। তারপর তিনি (সা.) এক বালাতি পানি আনলেন এবং পানি প্রস্রাবের ওপর ঢেলে দেওয়া হলো।’ (বুখারি)


হজরত নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ এতটাই অতুলনীয় ছিল যে, তিনি ইহুদির লাশকেও সম্মান দেখিয়েছেন।


হাদিসে উল্লেখ রয়েছে, একবার এক ইহুদির লাশ মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, আর এতে মহানবি (সা.) সেই লাশের সম্মানার্থে দাঁড়িয়ে ছিলেন ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না লাশটি তার সামনে থেকে চলে যায়। পাশ থেকে হজরত জাবের (রা.) বলেছিলেন, হে আল্লাহর রসুল! এটি তো ইহুদির লাশ। এতে আল্লাহর রসুল উত্তর দিয়েছিলেন, সে কি মানুষ ছিল না? (সহিহ বুখারি, হাদিস নং ১৩১১)

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও