ভালো নির্বাচনের আশা-দুরাশা

সমকাল মহিউদ্দিন খান মোহন প্রকাশিত: ০২ জুলাই ২০২২, ১৫:৫৫

বাংলাদেশে একটি অবিতর্কিত, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা সবার। সেটা এ দেশের ভোটার সাধারণ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পর্যন্ত সবারই। গণতন্ত্রকে অর্থবহ করার লক্ষ্যে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিকল্প নেই- এমন অভিমত দিয়ে চলেছে রাজনীতি বিশেষজ্ঞ ও সচেতন মহল। তাঁরা একবাক্যেই বলছেন, দেশে এবং বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার জন্য জাতীয় সংসদের একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, সে নির্বাচনের কোনো আভাস-ইঙ্গিত এখনও পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না। বরং আগামী সংসদ নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে, তা নিয়ে এখন চলছে তুমুল বিতর্ক। ক্ষমতাসীন দলের এক কথা- নির্বাচন সাংবিধানিক বিধান মোতাবেকই হবে, এর বাইরে তারা এক পা-ও যাবে না। অন্যদিকে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বক্তব্য, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখে তারা কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। তারা মনে করে, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাদের দাবি, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। তারা ইতোমধ্যে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এর আগে তারা নির্বাচন প্রশ্নে সরকার বা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় বসতেও রাজি নয়। দুই পক্ষের এই অনড় অবস্থানের শেষ পরিণতি কী, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে এ আশঙ্কা অমূলক নয়, দুই পক্ষ যদি এ রকম 'বিনা যুদ্ধে নাহি দেবো সূচ্যগ্রমেদিনী' সিদ্ধান্তে অটল থাকে, তাহলে ভালো কিছু আশা করা শেষ পর্যন্ত দুরাশায় পর্যবসিত হতে পারে।


এটা সবাই স্বীকার করছেন, বিএনপি বা আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য কোনো নির্বাচনই সম্ভব নয়। এই দুটি দল এ দেশের রাজনীতির বৃহৎ দুই স্টেকহোল্ডার। সুতরাং তাদের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো নির্বাচন জাতীয় বা আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। স্মরণ করা যেতে পারে, আওয়ামী লীগের বয়কটের মুখে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি যে নির্বাচন করেছিল, তা গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়নি। তেমনি আরেকটি নির্বাচন আমরা প্রত্যক্ষ করেছি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি; যেটি বর্জন করেছিল বিএনপি। ছিয়ানব্বই এবং ২০১৪-এর নির্বাচনের মধ্যে পার্থক্য হলো- '৯৬তে বিএনপি তাদের একক সংসদ টিকিয়ে রাখতে পারেনি, আর ২০১৪তে আওয়ামী লীগ বিতর্কিত নির্বাচনে গঠিত সংসদ এবং সরকার পাঁচ বছর বেশ ভালোভাবেই টিকিয়ে রাখতে পেরেছে। এর পাঁচ বছর পর যে নির্বাচনটি ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হলো, তাতে বিএনপিসহ সব দল অংশ নিলেও সেটা গ্রহণযোগ্য হতে পারেনি। কেন পারেনি সে কথা এখানে অবান্তর। কেননা, বিষয়টি নিয়ে এ যাবত এত কথা বলা হয়েছে, সে সম্পর্কে পুনরায় বলা চর্বিতচর্বণ মনে হতে পারে। ওই নির্বাচনটিকে বিএনপি ও তার মিত্ররা 'রাতের নির্বাচন' বলে কটাক্ষ করে থাকে। এসব কারণে জনমনে যে প্রশ্নটি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে তাহলো, দেশে আদৌ কি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে, নাকি অতীত ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হবে?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও