পদ্মা সেতু কি দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতির হিসাব পাল্টে দিতে পারে?

প্রথম আলো মারুফ মল্লিক প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২২, ১০:৩১

প্রমত্ত পদ্মায় সেতু নির্মাণ বাংলাদেশের জন্য বিশাল অর্জন। এ সেতুর কারণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে মধ্যাংশের যোগাযোগ সহজতর হবে। শুধু দেশের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নেই না আঞ্চলিক ভূরাজনীতিতেও এর গুরুত্ব রয়েছে। এ সেতুকে ঘিরে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতির গতি পাল্টে যেতে পারে। এত দিন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড় ছিল। কিন্তু চীন গুটি গুটি পায়ে দক্ষিণ এশিয়ায় নিজের অবস্থান জানান দিচ্ছে।


পদ্মা সেতু নির্মাণে চীনের সহায়তা এর প্রতিফলন। এ সেতু নির্মাণে সহায়তা করে চীন দক্ষিণ এশিয়ায় তার অবস্থান আরও শক্তিশালী করার সুযোগ পেল। বরং বলা যায়, পদ্মা সেতু দিয়ে চীন দক্ষিণ এশিয়ার মূল ভূখণ্ডে প্রবেশের সুযোগ তৈরি করল। এর আগে শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপে বড় বড় প্রকল্পে চীনের উপস্থিতি ছিল। পাকিস্তানের গাওদার বন্দর যতটা না দক্ষিণ এশিয়ার, তার থেকে বেশি ইরানের নিকটবর্তী। গাওদার বন্দর ইরান, পাকিস্তান, আফগানিস্তানকে সংযুক্ত করবে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) পরিকল্পনার আওতায়। কিন্তু পদ্মা সেতু বিআরআইয়ের মাধ্যমে চীনকে ভারতের দোরগোড়ায় এনে দিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় গুরুত্বপূর্ণ পালাবদলের ইঙ্গিত পদ্মা সেতু নির্মাণসংক্রান্ত পুরো ঘটনায় বিদ্যমান।


গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্র, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ নিয়ন্ত্রিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিপরীতে চীনকেন্দ্রিক নতুন এক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উত্থান আমরা লক্ষ করছি।


যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ইউনিভার্সিটির গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট পলিসি সেন্টারের হিসাব মতে, ২০০৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত চীন চাইনিজ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংকের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের ৮৫৮টি প্রকল্পে ৪৬২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এ সময়ে বিশ্বব্যাংকের ব্যয় ছিল ৪৬৭ বিলিয়ন ডলার। ধারণা করা হচ্ছে, বর্তমানে চীন উন্নয়ন খাতের বিনিয়োগে বিশ্বব্যাংক পেছনে ফেলে দিয়েছে। চীন মূলত যোগাযোগ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে বিনিয়োগ করেছে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, চীন অবকাঠামো কূটনীতি নিয়ে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে। এ কারণে আফ্রিকা বা এশিয়ার অনেক দেশই অবকাঠামোর উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক বা উন্নত বিশ্বের ঋণ ও সহায়তার ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল থাকছে না। পশ্চিমের সহায়তা ছাড়াই অনেক দেশে বড় বড় অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও