শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউনসেলর নিয়োগ জরুরি

ইত্তেফাক ড. কুদরাত-ই-খুদা বাবু প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২২, ১০:১৫

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটি, ড্রাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কয়েক জন শিক্ষার্থী প্রায় ধারাবাহিকভাবে আত্মহত্যা করেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মনে প্রশ্ন জাগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন আত্মহত্যা করছেন?


গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, করোনা মহামারিকালে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার ১০১টি ঘটনা ঘটে। আর বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে (৬১ দশমিক ৩৯ শতাংশ)। অন্যদিকে মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে আত্মহত্যার হার ১১ দশমিক ৮৮শতাংশ এবং প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে এই হার ৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ। আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার হার ছিল ২২ দশমিক ৭৭ শতাংশ।


বিভিন্ন কারণে আগের তুলনায় সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই অবস্থা বেড়েছে বলেই মনে হয়। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতাসহ আত্মহত্যা চেষ্টার প্রবণতা দিনে দিনে বেড়ে চললেও দেশের বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নেই কোনো পেশাদার পরামর্শক বা কাউনসেলর। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হতাশা ও মানসিক অশান্িত থেকে উত্তরণের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পেশাদার পরামর্শদাতা বা কাউনসেলর নিয়োগ করা হলে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার চেষ্টা চালানো কিংবা আত্মহত্যা করার প্রবণতাসহ তাদের মানসিক অস্হিরতা ও হতাশা অনেকটাই কমে আসবে।


এ কথা সত্য, একজন শিক্ষার্থীকে স্কুল-কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আসতে তার অভিভাবকসহ অনেক ত্যাগ ও সংগ্রাম করতে হয় এবং পাড়ি দিতে হয় অনেক দুর্গম ও বন্ধুর পথ। অনেক আশা-ভরসা নিয়ে মা-বাবা তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তে পাঠান। পাশাপাশি দেশ-জাতিও তাদের কাছ থেকে ভালো অনেক কিছু প্রত্যাশা করে। মানুষের জীবনেই সমস্যা আসে এবং নানা ধরনের সমস্যা আসবেই। আর এটিই স্বাভাবিক। তার মানে এই নয় যে, জীবনে সমস্যা এলে বা সমস্যায় পড়লে আত্মহত্যা করে জীবনকে শেষ করে দিতে হবে বা আত্মহত্যার চেষ্টা চালাতে হবে। বরং জীবনে কোনো ধরনের সমস্যা এলে বা সমস্যায় পড়লে শিক্ষার্থীসহ সবাইকে আবেগনির্ভর না হয়ে সুস্হ মস্তিষ্কে বাস্তবতার আলোকে সেই সমস্যার সমাধান করা উচিত অথবা সেই সমস্যা যে কোনোভাবে প্রতিহত করা উচিত। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে কোনো মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা পেশাদার কোনো কাউনসেলরেরও শরণাপন্ন হওয়া যেতে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও