কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পদ্মা সেতু খুলে গেলো আর হেরে গেলো ‘ওরা’

বাংলা ট্রিবিউন মাসুদা ভাট্টি প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২২, ১৬:৫৬

পৃথিবীর সকল দেশই রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত। ভোটের রাজনীতিতে ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাষ্ট্রসমূহ বিভক্ত থাকবে এটাই এখন সিদ্ধ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেমন জনগণ মোটা দাগে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান দলে বিভক্ত। এর মাঝে আর কোনও দল নেই। যুক্তরাজ্যে লেবার ও কনজারভেটিভ নামে দুই দলের সমর্থক মোটাদাগে বিভক্ত হলেও মাঝখানে লিবারেল ডেমোক্র্যাট নামে আরেকটি দল আছে। আমরা দেখেছিলাম যে ব্রেক্সিট ভোটের সময় হঠাৎ করেই ইউকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট পার্টি বা ইউকিপ বলে একটি চরম সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়েছিল, যারা মূলত কট্টর কনজারভেটিভ বা রক্ষণশীল দলেরই সমর্থক।


পৃথিবী ও তথ্যপ্রবাহ অবাধ হওয়ার ফলে রক্ষণশীল দলের জন্যও আর আগের মতো কট্টরপন্থী হয়ে থাকা সম্ভব হচ্ছিল না, কিন্তু যেটুকু ছাড় দিয়ে রক্ষণশীল দল এখনও কট্টরই রয়েছে সেটুকুও যারা মেনে নিতে পারেনি তারাই ইউকিপ নামের দল গঠন করেছিল। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর রাজনৈতিক বিভক্তি নিয়ে এত কথা বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে, এসব দেশের জনগণ রাজনৈতিকভাবে বা ভোটদানের ক্ষেত্রে বিভক্ত হলেও কোথাও কারও হাতে জাতীয় স্বার্থ সামান্য ক্ষুণ্ন হলেই পুরো দেশ একত্রিত হয়ে তার প্রতিবাদ করে এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় জনগণ একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিন্তু পৃথিবীতে যে এর ব্যতিক্রমও রয়েছে সেটাও সত্য।


জামাল আবদেল নাসের ষাটের দশকের পৃথিবীতে বিশেষ করে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধোত্তর পৃথিবীতে জাতীয়তাবাদী নেতা হিসেবে বিখ্যাত হয়ে আছেন। তিনি তার ৫০ হাজারেরও বেশি সমর্থকদের উপস্থিতিতে বিখ্যাত সুয়েজ খাল জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। সুয়েজ খাল এশিয়া ও ইউরোপকে যুক্ত করা একটি উল্লেখযোগ্য বাণিজ্যপথ। এই খালটির নিয়ন্ত্রণ ছিল ব্রিটিশ ও ফরাসি কোম্পানির হাতে। ফলে প্রেসিডেন্ট নাসের যখন একে জাতীয়করণের ঘোষণা দিলেন তখন মিসরের বিরুদ্ধে ইসরায়েল, ফ্রান্স ও ব্রিটেন একযোগে যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং আক্রমণ করে বসে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর হঠাৎ করে মধ্যপ্রাচ্যে এই উত্তেজনা বিশ্বকে আবারও ভড়কে দেয়। নাসেরকে সমর্থন দেন জাতীয়তাবাদী অন্যান্য বৈশ্বিক নেতৃবৃন্দ এবং তার দেশের জনগণ। সরকারি ও বিরোধী সকল পক্ষই নাসেরকে এ সময় সমর্থন দিয়ে দেশের ভেতর জনগণের ঐক্য গড়ে তোলে। আন্তর্জাতিকভাবে এই আক্রমণকে নিন্দা জানানো হয় দেশের ভেতরকার এই ঐক্য ও মিসরীয়দের প্রতিবাদী হয়ে ওঠার ফলেই। আক্রমণকারী পক্ষটি পিছু হঠতে বাধ্য হয়, একটি চুক্তিও সম্পাদিত হয়। মিসর সুয়েজ খালের একক নিয়ন্ত্রণ লাভ করে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও