কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মিথ্যা প্রতিযোগিতায় মির্জা ফখরুলের অবস্থান

অনেক পাঠক শুনে অবাক হলেও একটি সত্য কথা এই যে যুক্তরাজ্যের উত্তরাঞ্চল কেম্রিয়াতে প্রতি বছর নভেম্বর মাসে ‘মিথ্যা প্রতিযোগিতা’ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এবং প্রতিযোগীদের মধ্যে যে সবচেয়ে বেশি চমকপ্রদ মিথ্যা বলতে পারে তাকে শ্রেষ্ঠ মিথ্যাবাদী বলে তকমা দেওয়া হয়। এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল উইল রিটসন নামক এক পানশালা মালিকের স্মরণে। কারণ, ব্যবসার পাশাপাশি তার কাজ ছিল জনগণকে মিথ্যা কাহিনি বলা। এটি তিনি করতেন নিজেকে আনন্দ দেওয়ার জন্য। তার বহু উদ্ভট কাহিনির মধ্যে একটি ছিল এ রকম, তিনি একটি আহত ঈগল পাখিকে সারিয়ে তোলার পর একটি শৃগাল তা খেয়ে ফেলেছিল, কিন্তু পরে শৃগাল সেই ঈগলটিকে প্রসব করেছিল।


যেসব ব্যক্তি গত কয়েক বছর মিথ্যা প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন তাদের মধ্যে আছেন ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার আব্রি কুংগার, ফ্রিডা কাহালো, ২০০৬ সালে স্যু পারকিনস নামক মহিলা কৌতুক অভিনেত্রী। ২০০৮ সালে জয়ী হয়েছিলেন জন গ্রাহাম নামক একজন এ কথা বলে যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় একটি জার্মান ডুবোজাহাজ যুক্তরাজ্য আক্রমণ করেছিল সেখান থেকে ডিজিটাল টেলিভিশনের ডি-কোড অপহরণের জন্য, যা কিনা ছিল সে সময়ে খুবই অবান্তর। এই প্রতিযোগিতায় একসময় কারলাইলের বিশপ এই উক্তি করে শ্রেষ্ঠ মিথ্যাবাদীর তকমা অর্জন করেছিলেন যে তিনি জীবনে কখনও মিথ্যা বলেননি, কেননা তার সেই উক্তি এ কারণে বিশ্বাসযোগ্য ছিল না যে তিনি ছোটবেলা থেকে শুরু করে কোনও না কোনও সময় অবশ্যই মিথ্যা বলেছেন।


এই প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তারা নিশ্চয়ই বাংলাদেশের ‘প্রখ্যাত মিথ্যাচার’ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথা জানতে পারেননি, কেননা এ পর্যন্ত সেসব ব্যক্তি মিথ্যার জন্য পদক পেয়েছেন, মির্জা ফখরুলের মিথ্যা তার চেয়েও অনেক বেশি শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার। কেননা, তিনি পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর খালেদা জিয়া স্থাপন করেছিলেন বলে বিশ্বে মিথ্যার সমস্ত রেকর্ড ভঙ্গ করেছেন। এটি পুরোপুরি অবান্তরের মোড়কে ঢাকা এমনই একটি মিথ্যাচার, যার পক্ষে কোনও প্রমাণ কেউ দেখাতে পারবে না, যে কারণে মির্জা সাহেবের বক্তব্য সমর্থন করে কেউ মন্তব্য করেননি। বরং খালেদা জিয়ার আমলের যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা কথাটি সত্য নয় বলে বিবৃতি দিয়েছেন। কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তি কোনও কিছুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলে সেই প্রস্তরটি সর্বকালের জন্য রক্ষিত থাকে। খালেদা জিয়া ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলে তাও নিশ্চয়ই রক্ষিত থাকতো। কিন্তু মির্জা ফখরুল তো তা দেখাতে পারছেন না। তাছাড়া কোনও রাষ্ট্রনায়ক কিছুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলে তা ঢালাওভাবে গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়, যে জন্য ভবিষ্যতে বহু বছরও জনগণ তা মনে রাখে। অথচ খালেদা জিয়া পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিল বলে কোনও মানুষই কখনও শুনেননি। মির্জা সাহেবের এই মিথ্যাচার সত্যি কথা বলতে কী– রাতকে দিন বানানোর মতোই, আর তাই মিথ্যা প্রতিযোগিতায় তার সমকক্ষ কেউ হতে পারবে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও