তিন দশকের পেশায় নতুনের হাতছানি
রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম নৌপথ মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট। একসময় প্রতিদিনই লাখো মানুষের পদচারণা ছিল এই ঘাটে। ধীরে ধীরে দিন বদলেছে। আর মাত্র দিন দশেক পরেই খুলে যাচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। উদ্বোধনের পর সেতু ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার লোকজন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে যাবেন। সেতু ঘিরে ব্যাপক উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে পদ্মা পাড়ের জেলাগুলোতেও। তবে এর প্রভাবে ব্যস্ততা কমছে বাংলা বাজার ঘাটে। আর লোকজনের আনাগোনা কমায় তিন দশকের পেশাও বদলে ফেলছেন ঘাটকেন্দ্রিক বিভিন্ন পেশার মানুষ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই অঞ্চলের জন্য আশীর্বাদ বয়ে এনেছে পদ্মা সেতু। গড়ে উঠছে নানান শিল্প করখানা, সৃষ্টি হবে নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র। তবে স্বাভাবিকভাবেই পেশা বদলে ফেলতে হচ্ছে দীর্ঘদিনের চেনা ঘাটকেন্দ্রিক পেশাজীবীদের। তবে এদের মধ্যে কিছু পেশার মানুষ অন্য সাধারণ কাজে অভ্যস্ত নন, তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা বা পুনর্বাসনেরও দাবি জানিয়েছেন তারা।
বিশেষ করে ঘাট এলাকার দোকানদার, হকার, কুলি, হোটেল ব্যবসায়ী পেশা পরিবর্তন নিয়ে উদ্বিগ্ন। শুক্রবার (১০ জুন) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘাট এলাকায় অবস্থান করে দেখা গেছে, ফেরিঘাট এলাকা যানবাহন ও জনশূন্য। ঘাটে থাকা খাবার হোটেলের বেশিরভাগই বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক দোকানপাট ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। দুই একটি চায়ের দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতা নেই। অনেকেই দোকানপাট অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়েছেন।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- পদ্মা সেতু
- জীবিকা নির্বাহ