কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ভারসাম্যহীন আরও বড় এক বাজেট

www.ajkerpatrika.com জাহীদ রেজা নূর প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২২, ১০:৪৮

বাজেটে কিসের দাম বাড়ল আর কিসের দাম কমল, তা নিয়ে টেলিভিশন, পত্রপত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতিমধ্যেই আলোচনা হয়েছে বিস্তর। খুব শিগগির নতুন কোনো ইস্যু এলেই বাজেট-আলোচনা স্তিমিত হয়ে আসবে। সাধারণ মানুষ এরই মধ্যে বাজার ঘুরে বুঝতে শুরু করেছেন, জীবনে কোন কোন শখ-আহ্লাদ মেটানোর স্বপ্নকে টুঁটি টিপে হত্যা করতে হবে।


নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের জীবনে বাজেট শুধু একটাই পরিবর্তন নিয়ে আসে—তা হলো, আরও কৃচ্ছ্রসাধন করা। সক্রেটিস, ডায়াজেনিসরা তখন আবির্ভূত হন ত্রাণকর্তা হয়ে। কত কম জিনিস নিয়ে জীবনে সুখী হওয়া যায়, সে কথাগুলো তখন মনে একধরনের ভালোবাসার প্রলেপ দেয়। কিন্তু এ কথাগুলো শুধু ভূমিহীন, নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষ সম্পর্কেই প্রযোজ্য। কৃচ্ছ্রসাধনের কোন ধরনের ইচ্ছে পুঁজিপতি মানুষের মনে ঘটবে, এটা অতিকষ্ট-কল্পনা। তাই দারিদ্র্যকে মহিমান্বিত করা, দারিদ্র্যকে খ্রিষ্টের সম্মানপ্রাপ্তির সমান মনে করা আসলে নিজেকে প্রবঞ্চিত করার একটা তরিকা।


আমাদের দেশে বহু দিকে উন্নতি হয়েছে। ছেঁড়া শার্ট, গেঞ্জি অথবা তালি মারা লুঙ্গি বা শাড়ি পরা কোনো মানুষ ইদানীং দেখা যায় কি না, আমার জানা নেই। কর্মসূত্রে বা ব্যক্তিগত ভ্রমণের কারণে দেশের বহু জায়গায় আমাকে যেতে হয়। পোশাকে-আশাকে সত্তরের দশকে যে দারিদ্র্য আমি দেখেছি, সেটা সম্ভবত এখন অতটা ভয়াবহরূপে নেই। ব্রয়লার মুরগি আর মাছ চাষে সাফল্য আসার পর মানুষের প্রোটিনের চাহিদা কোনো না কোনোভাবে কিছুটা হলেও পূরণ হচ্ছে। বাংলাদেশের কৃষক এবং খামারিরা যে যুগান্তকারী কাণ্ড ঘটিয়েছেন, একসময় তা ইতিহাসের অংশ হয়ে উঠবে এবং মানুষ বুঝবে, মূলত সবচেয়ে গরিব মানুষই দেশের সব স্তরের মানুষকে খাইয়ে-পরিয়ে বাঁচিয়ে রাখেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও