কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

নির্বাচনের দুই বুর্জোয়া জোট ও বামশক্তি

দেশ রূপান্তর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২২, ১০:১৮

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবেশ গুমোট থাকলেও নির্বাচন ঘিরে অনেক কিছুই পরিষ্কার হচ্ছে। অন্তত সংঘাতের বিষয়টি দিনে দিনে স্পষ্ট হচ্ছে। লক্ষণ রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য কোনোভাবেই শুভ নয়। একদিকে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছেন, অন্যদিকে বিরোধী পক্ষকে দমনের নামে হাজার হাজার মামলা দেওয়া হচ্ছে। গ্রেপ্তার চলছে।


ক্ষমতায় থাকা ও যাওয়ার প্রচলিত রাজনীতি এ সমাজকে অস্থির করে তুলেছে এবং দিনে দিনে তা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিক্রি নিয়ে আমরা সরকার এবং প্রশাসনের মধ্যে দুই ধরনের আচরণ লক্ষ করলাম। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কার্যালয় ধানমন্ডিতে এক নীতি আবার বিরোধী জোট বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আরেক নীতি। এ ধরনের ইঙ্গিত একটি নির্বাচনের জন্য কোনোভাবেই সহনশীল হতে পারে না। বিশেষ করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নামের যে বহুল প্রচারিত কথাটি আছে, তা আরও জটিল হয়ে পড়েছে। সংসদীয় গণতন্ত্র নিয়ে যে আশার আলো দেখা দিয়েছিল নব্বইয়ের দশকের শুরুতে, এখন তা রীতিমতো ফিকে হয়ে আসছে।


নতুন জোট ঐক্যফ্রন্টের মধ্য দিয়ে রাজনীতির নতুন মেরুকরণ ঘটেছে। নৌকা প্রতীক এবং ধানের শীষ প্রতীকের মধ্যে লড়াই আগেও ছিল; কিন্তু এতটা স্পষ্ট ছিল না, জোট গঠনের মধ্য দিয়ে যা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হাতি এবং গাধার প্রতীক নিয়ে যে লড়াই বাংলাদেশে এখন সে ধরনের লড়াই দেখা যাবে। বুর্জোয়া রাজনীতির মধ্যে আদর্শগত নীতির বিশেষ কোনো মূল্য থাকে না; তারা লড়াই করে কেবল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। যারা একবার ক্ষমতায় যায়, তারা সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে। আর যারা ক্ষমতার বাইরে থাকে তারা সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করতে চায় ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। দুই পক্ষেরই শক্তির কেন্দ্রে থাকে ক্ষমতা। নতুন জোট গঠনের মধ্যে আদর্শহীনতার দ্বন্দ্ব আরও পরিষ্কার হয়ে গেছে। কারণ এই জোটগুলো বিশেষ কোনো আদর্শকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়নি। তৈরি হয়েছে ক্ষমতা লাভের অভিপ্রায়ে। বড় দুই দল একা পারবে না বলেই, অন্যদের ডেকে নিয়েছে; অন্যরাও সাড়া দিয়েছে কারণ একা থাকলে তাদের কেউ পাত্তা দেবে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও