সরকার মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে
ড. কামরুল হাসান মামুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক। এই বিভাগ থেকেই বিএসসি (অনার্স) এবং এমএসসি ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৯২ সালে তিনি ইতালির ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর থিওরিটিক্যাল ফিজিক্স (আইসিটিপি) থেকে কনডেন্সড ম্যাটার ফিজিক্স বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা করেন। ১৯৯৬ সালে যুক্তরাজ্যের ব্রুনেল ইউনিভার্সিটির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০০-০১ সালে তিনি হামবোল্ট রিসার্চ ফেলো হিসেবে জার্মানির পটসডাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করেছেন। আরও তিন পদার্থবিজ্ঞানীর সঙ্গে যৌথভাবে তিনি ফ্র্যাকটাল প্যাটার্নস ইন নন লিনিয়ার ডিনামিক্স অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন্স (সিআরসি প্রেস, ২০১৯) নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন। দ্য আমেরিকান ফিজিক্যাল সোসাইটি (এপিএস) প্রকাশিত ফিজিক্যাল রিভিউ জার্নালে ১৮ গবেষণা নিবন্ধসহ খ্যাতনামা আন্তর্জাতিক জার্নালগুলোতে তার আরও ১৯টি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার নানা সংকট নিয়ে দেশ রূপান্তরের সঙ্গে কথা বলেছেন অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সম্পাদকীয় বিভাগের আহমেদ মুনীরুদ্দিন
দেশ রূপান্তর : সম্প্রতি দেশ রূপান্তরের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় ৫০ একর জমির ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির জন্য ১০ হাজার ১০০ কোটি টাকার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোপোজাল জমা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জমি অধিগ্রহণ ও অবকাঠামো খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা। বাকি টাকার বেশিরভাগই খরচ হবে কেনাকাটায়। বিপুল অর্থ ব্যয়ে এমন অবকাঠামো নির্মাণকে কীভাবে দেখছেন?
কামরুল হাসান মামুন : প্রথম কথা হলো, বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চশিক্ষা অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি বিষয়। উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় হতেই পারে। তবে, এটা মাথায় রাখতে হবে যে, অবকাঠামো মানেই বিশ্ববিদ্যালয় নয়। বিশ্ববিদ্যালয় শুরুর আগে একটা মাস্টারপ্ল্যান থাকতে হবে। যেখানে দীর্ঘ সময় ধরে পর্যায়ক্রমিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য নানা পরিকল্পনা থাকবে। কিন্তু এক দফাতেই সবকিছু নির্মাণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে বিষয়টা এমন নয়। পৃথিবিতে কোথাও এমন হয় না।