পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা: এত কিছুর পর জনগণের সরকার এল কি?

প্রথম আলো মারুফ মল্লিক প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২২, ০৯:৪৮

পাকিস্তানে ক্ষমতার পালাবদলের পর শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতেও বেশ বড় ধরনেরই ওলট-পালট হলো। কিন্তু দুই দেশেই কি শেষ পর্যন্ত জনগণের সরকার ক্ষমতায় এল? আসেনি। আসার কথাও ছিল না। যদিও দুটি দেশে সমস্যার প্রকৃতি ও ধরন একই রকমের ছিল। মূলত অর্থনৈতিক সমস্যা, অব্যবস্থাপনা ও সংকটের কারণেই দেশ দুটিতে সরকারকে সরে যেতে হয়েছে। পাকিস্তানে ওই অর্থে জনবিক্ষোভ হয়নি ইমরান খানের সরকারের বিরুদ্ধে; বরং ইমরান খানের পক্ষে পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে একযোগে বড় বড় বিক্ষোভ হয়েছে। কিন্তু তার আগেই অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা, বেকারত্ব বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে বিরোধী দল ইমরানের সরকারকে সরিয়ে দিয়েছে।


মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে আস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত করার শক্তি শ্রীলঙ্কার বিরোধী দলের পার্লামেন্টে ছিল না। তাই শ্রীলঙ্কায় ভিন্ন কায়দায় সরকারের পরিবর্তন করা হয়েছে। শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে ইমরানের মতো মাহিন্দা অভিযোগ করতে পারেননি যে যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমারা ষড়যন্ত্র করেছে; বরং শ্রীলঙ্কায় রাজপথে বিক্ষোভ হয়েছে। সহিংসতা হয়েছে। শ্রীলঙ্কার সরকারবিরোধী বিক্ষোভে আগুন, হত্যা, রক্তপাত সবই ছিল। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল যে গণপিটুনিতে একজন সংসদ সদস্য নিহত হয়েছেন। মাহিন্দা রাজাপক্ষের সমর্থকদের বিরোধীরা ধাওয়া দিয়ে রাজপথ থেকে হটিয়ে দিয়েছে। কিন্তু শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী রাতারাতি সমস্যার সমাধান করতে পারবে না।


ইমরান খান ও মাহিন্দা রাজপক্ষের পতন রাজনীতিবিদ, বিশেষ করে আমাদের মতো আধাআধি মার্কা দেশগুলোর জন্য বড় ধরনের রাজনৈতিক শিক্ষা। আধাআধি বললাম এ জন্য যে এই দেশগুলোতে সবকিছুই আধাআধি করে আছে। এই দেশগুলোকে পুরোপুরি গণতান্ত্রিকও বলা যাবে না, আবার পুরোপুরি কর্তৃত্ববাদী, ফ্যাসিস্টও বলা যায় না। নির্বাচনী একটা ব্যবস্থা আছে। নিয়মিত নির্বাচনও হয়, কিন্তু সেই নির্বাচনের প্রতি অধিকাংশ সময় জনসাধারণের আস্থা থাকে না। বিদেশি শক্তি, সামরিক শক্তিসহ নানা শক্তি ও অংশের প্রভাব থাকে নির্বাচনী ফলাফল নির্ধারণে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও