কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, জাতীয় নির্বাচন ও নারীর অংশগ্রহণ

দেশ রূপান্তর রোকেয়া কবীর প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২২, ০৯:০৫

গণমাধ্যম সূত্রে দেখা যাচ্ছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশে এরই মধ্যে বেশ ডামাডোল শুরু হয়ে গেছে। যদিও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে নাভিশ্বাস ওঠা পরিস্থিতির মধ্যে সাধারণ জনগণ এ নিয়ে খুব আগ্রহ বোধ করছে বলে মনে হয় না। চলমান পরিস্থিতিতে বরং ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়া দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে বর্তমান রাজনীতি ও রাজনৈতিক নেতারা কতটা ভাবিত, সংগত কারণে জনগণের সিংহভাগের মনোযোগ এখন সেদিকে। আমাদের অতি ধার্মিকতা ও ধর্মান্ধতার দেশে অধিক মুনাফার লোভে পবিত্র রমজানের মধ্যেও অসৎ ব্যবসায়ীরা কীভাবে লাখ লাখ লিটার সয়াবিন তেল গুদামজাত করে তেল সংকটকে ভয়াবহ পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিদিনের অভিযানের মাধ্যমে জনগণ এখন তা বিস্ময়ের সঙ্গে দেখছে আর প্রমাদ গুনছে। আমরা এতই ধার্মিক যে সবকিছুতেই ধর্মকে মিশিয়ে ফেলেছি ও ফেলি। ব্যবসা ক্ষেত্রও এর বাইরে নয়, যেজন্য আমাদের বাজারে ‘হালাল’ সিল দেওয়া পণ্য পাওয়া যায়। অথচ ঈদকে সামনে রেখে সংযমের ব্রত পালনরত অবস্থাতেও আমরা মজুদদারি ত্যাগ করতে পারি না, যেখানে পৃথিবীর অনেক দেশেই ধর্মীয় উৎসব-অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের বিভিন্ন ধরনের ছাড় দিয়ে থাকে।


সবাই জানে যে, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব কমবেশি সারা বিশে্বই পড়েছে। সয়াবিন ও জ¦ালানি তেলসহ খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ঘটনাও এখন শুধু বাংলাদেশের বাস্তবতা নয়, যা জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বক্তব্যেও উঠে এসেছে। তিনি বলেছেন, ‘যুদ্ধের প্রভাব সারা বিশ্বেই পড়ছে। প্রভাবটা পড়ছে পদ্ধতিগতভাবে। খাদ্য ও জ্বালানির ঘাটতি আর অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছেন বিশ্বের অন্তত ১৭০ কোটি মানুষ, যাদের এক-তৃতীয়াংশই এখন দারিদ্র্য অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।’ কিন্তু আমাদের দেশে দেখা যাচ্ছে, যেসব পণ্যের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতির কোনোভাবেই কোনো সম্পর্ক নেই, রাতারাতি সেসব পণ্যেরও দাম বেড়ে যাচ্ছে। ফলে অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যই দরিদ্র মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। কিন্তু পরস্পরকে দোষারোপ করা ছাড়া আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণে আগ্রহী রাজনৈতিক দলগুলোর এ নিয়ে কার্যকর কোনো ভূমিকা সাধারণ মানুষ দেখতে পাচ্ছে না। পর্যাপ্ত ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না সরকার বা ব্যবসায়ীদের সংগঠনসহ অন্য সংশ্লিষ্টদের মধ্যেও। বরং ভোক্তাদের ভোগে সংযমী হতে বলা হচ্ছে। অথচ বিভিন্ন পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজারব্যবস্থাকে মনিটরিং করা না গেলে দিন দিন সাধারণ মানুষের জন্য জীবনধারণ ক্রমশ আরও কঠিন হয়ে যাবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও