বিএনপি-জাপার কাতারে এখন আওয়ামী লীগ

প্রথম আলো সোহরাব হাসান প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২২, ১৪:২৩

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বরাবর নীতি-আদর্শের চেয়ে ক্ষমতাই প্রাধান্য পেয়ে আসছে। ডান-বাম-মধ্য কারও কথা ও কাজে মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। ক্ষমতার জন্যই একদা কট্টর বাম রাতারাতি জাতীয়তাবাদী হয়ে গেছেন। একদা ঘোরতর আওয়ামী বাকশালবিরোধী রাজনীতিক হালে আওয়ামী লীগে লীন হয়েছেন। আবার ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির ধারক-বাহকেরা ধর্মবাদী দলের সঙ্গে জোট বেঁধেছেন। ক্ষমতার জন্য জনগণের ভোটাধিকার রক্ষার চ্যাম্পিয়ন দাবিদার দলটি ভোটাধিকার হরণের নতুন নতুন কায়দা খুঁজে বের করছে বলেও অভিযোগ আছে।


বিরোধী দলে থাকতে আওয়ামী লীগ বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সরকারের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপি ও ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে। তাদের এ অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা, তা-ও নয়। কোনো দেশে সেনাশাসক সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন দিয়েছেন, এ রকম নজির নেই। তাই বলে যারা নিজেদের গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী বলে দাবি করে, তাদের আমলে নিয়মরক্ষার ভোট হবে কেন? তাহলে সেনাশাসকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো ফারাক থাকে না। অনেকে বলেন, এখনো নেই।


স্বাধীনতার পর তিনটি দলই ক্ষমতায় এসেছে কিংবা আছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি। দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অতি ভঙ্গুর হয়ে থাকলে বা সুষ্ঠু নির্বাচন না হয়ে থাকলে তার দায়ও তাদের নিতে হবে। আরও কৌতুককর হলো বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে যত বিতর্কই থাকুক না কেন, কোনো নির্বাচন বাতিল হয়নি। এমনকি উচ্চ আদালত সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী বাতিল করলেও সেই সময়ের অনেক বিধিবিধানও বহাল রেখেছেন। এরশাদ আমলে বিতর্কিত চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ যখন সংসদ সদস্যদের বিনা শুল্কে গাড়ি কেনার সুযোগ দিয়েছিল, তখন আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ সব দলই এর কঠোর সমালোচনা করেছিল। পরে তারা ক্ষমতায় এসে সেই সুযোগ পুরোটাই নিয়েছে এবং এখনো সেই আইন বহাল আছে। আমাদের জনপ্রতিনিধিরা ভাবেন, সংসদ সদস্য হিসেবে তাঁদের বাড়তি সুবিধা থাকা উচিত। ফলে তাঁদের শুল্কমুক্ত গাড়ি দিতে হবে। অথচ যাঁরা তাঁদের নির্বাচিত করেছেন, জনগণ সেই সুবিধা পাবেন না। সংসদের স্থায়ী কমিটিগুলো নির্বাহী বিভাগের দোষত্রুটি ধরার চেয়ে বিদেশভ্রমণের সুযোগ নিতেই বেশি ব্যস্ত।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও