ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ, ইজিবাইক বন্ধের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির

এনটিভি প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০২২, ১২:২৫

ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কমানোর পাশাপাশি গণপরিবহণের সুষ্ঠু চলাচল নিশ্চিত করতে দেশের সব জাতীয় মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল নিয়ন্ত্রণ, রিকশা, ইজিবাইক, অটোরিকশা চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। 


গণমাধ্যমে আজ রোববার পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।


বিবৃতিতে দাবি করা হয়, করোনা সংকটে গত দুবছরে দেশের পরিবহণের বহরে ১০ লাখ মোটরসাইকেল নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে। একই সময়ে প্রায় ২০ লাখ ইজিবাইক রাস্তায় নেমেছে। বর্তমানে ৩৫ লাখের বেশি মোটরসাইকেল ও ৪০ লাখের কাছাকাছি ইজিবাইক রাস্তায় চলাচল করে, যা দেশের যানজট ও জনজট প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে। এবারের ঈদে জাতীয় মহাসড়কে এসব যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ভয়াবহ যানজটের  ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে।


বিবৃতিতে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এবারের ঈদে গণপরিবহণ সংকটকে কাজে লাগিয়ে ১২ লাখ ট্রিপ যাত্রী রাজধানী ঢাকা থেকে আশপাশের জেলাসহ দূর-দূরান্তে মোটরসাইকেলে যাত্রা করতে পারে। এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন আন্তঃজেলায় রাইড শেয়ারিং পন্থায় আরও প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ লাখ ট্রিপ যাত্রী মোটরসাইকেলে বাড়ি যাবে। ঈদ যাত্রী বহরে দেশের জাতীয় মহাসড়কে ২০ থেকে ২৫ লাখ মোটরসাইকেল রাস্তায় থাকবে। এসব মোটরসাইকেলে স্ত্রী-সন্তান, লাগেজ-ব্যাগেজ নিয়ে ভারসাম্যহীন অবস্থায় বেপরোয়াভাবে বাস-কারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে গিয়ে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। বিগত ঈদে ৩১৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৩ জন নিহত ও ৬২২ জন আহত হয়েছিল। এতে কেবল মোটরসাইকেলে ১৪৪টি দুর্ঘটনায় ১৩৯ জন নিহত ও ১৯৯ জন আহত হয়েছিল, যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৫ দশমিক ২৮ শতাংশ, নিহতের ৪৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ এবং আহতের ৩১ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এবারের ঈদে অতীতের যেকোনো সময়ের প্রায় তিন গুণ যাত্রী মোটরসাইকেলে যাত্রা করতে পারে। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও তিন গুণ বেড়ে যেতে পারে। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ করা গেলে এবারের ঈদে ৫০ শতাংশ দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও