শিশুর মাথা ছোট হলে
শিশুর বয়স অনুযায়ী মাথার আকার ছোট থাকাকে ‘মাইক্রোকেফালি’ বলে। যদি কোনো শিশুর মাথার বেড় সুনির্দিষ্ট মাপের চেয়ে ছোট হয়, তখন একে মাইক্রোকেফালি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
শিশুর মাথার আকারের ওপর নির্ভর করে তার মস্তিষ্কের পদার্থের পরিমাণ। মাথার বেড় ছোট থাকলে শিশুর ব্রেন বা মস্তিষ্ক বিকশিত হতে পারে না। সমস্যা আরও জটিল হয়, যদি এসব শিশুর মাথার খুলির অস্থিসন্ধি সময়ের আগে জোড়া লেগে যায়। মাথা ছোট হওয়ার অন্যতম কারণ জেনেটিক। এ ছাড়া গর্ভাবস্থায় প্রথম সাত মাসে শিশুর যদি ক্রোমোসোম বিচ্যুতি হয় বা গর্ভকালে মায়ের টক্সো, সিফিলিস, রুবেলা, হারপেস, জিকা প্রভৃতি জীবাণু সংক্রমণ হয়, তবে শিশুর মাথা ছোট হতে পারে।
গর্ভকালে মায়ের অ্যালকোহল ও ধূমপানের অভ্যাস থাকলে শিশুর মাথা ছোট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। গর্ভবতী মা টক্সেমিয়া, ডায়াবেটিস, ক্রনিক কিডনি ফেইলিওরের মতো রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হলে এই ঝুঁঁকি থাকে।
গর্ভাবস্থায় বা ভূমিষ্ঠ হওয়ার প্রথম দুই মাস বয়সে শিশু যদি পেরিনেটাল এসফাইয়েকশিয়া (জš§কালীন শ্বাসরোধ), হাইপোথারমিয়া, মেনিনজাইটিস, অপুষ্টিসংক্রান্ত জটিলতায় ভোগে, তবে মাথা ছোট হয়ে যাওয়ার ঝুঁঁকি থাকে। রোগের ইতিহাস জানাটা গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভপূর্ব অবস্থা, গর্ভাবস্থা ও প্রসবকালে মায়ের জ্বর ও র্যাশ, খিঁচুনি প্রভৃতি ছিল কি না, এসব তথ্য চিকিৎসককে জানাতে হবে। নবজাতকের মাত্রাতিরিক্ত জন্ডিস বা খিঁচুনি হলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে। নবজাতকের মাথার আকার নির্ণয় করার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। শিশুর মুখমণ্ডল ও শরীরের আকার-আকৃতিসহ শারীরিক পরীক্ষা করার পর বায়োকেমিক্যাল ল্যাব টেস্ট এবং মাথার সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজন হতে পারে।