হঠাৎ রেগে যাওয়া, দরজা বন্ধ করে থাকা বা চুপচাপ থাকা—কিশোরেরা কেন এমন করে
কিশোর বয়স একটা সেতুর মতো। শৈশব থেকে যৌবনে, নির্ভরতা থেকে স্বাধীনতায়, সরলতা থেকে বাস্তবতায় যাওয়ার সেতু। কিন্তু এই সেতু পার হওয়া অনেক কিশোর-কিশোরীর জন্য সহজ নয়। অনেকের এ সময়টাতে নীরবতা, বিরক্তি, জেদ বা আচরণের পেছনে লুকিয়ে থাকে অজানা চাপ, দুশ্চিন্তা আর মানসিক ক্লান্তি।
কৈশোরের সমস্যাগুলো সাধারণ। এই বয়সটা জীবনের সবচেয়ে দ্রুত পরিবর্তনের সময়। শারীরিক বৃদ্ধি, হরমোনের পরিবর্তন, আবেগের ওঠানামা, পরিচয় খোঁজা, সামাজিক চাপ—সব মিলিয়ে এই সময়টা তাদের জন্য মানসিকভাবে নাজুক। বিশেষ করে কিশোরীরা হরমোনের পরিবর্তন, মাসিক চক্র, শরীর নিয়ে মন্তব্য, নিরাপত্তা-সংক্রান্ত উদ্বেগ এবং সম্পর্কগত সংবেদনশীলতার কারণে অতিরিক্ত চাপে পড়ে।
যেসব পরিবর্তন ঘটে
ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন ওঠানামা করে। মাসিক চক্র, ব্রণ, শরীরের গঠনগত পরিবর্তন, স্তনের আকার বৃদ্ধির মতো শারীরিক পরিবর্তন কিশোরীদের মধ্যে দ্রুত প্রভাব ফেলে। তীব্র অনুভূতি, আত্মপরিচয় খোঁজা ও সম্পর্কের প্রতি অতিরিক্ত সংবেদনশীলতার মতো আবেগগত পরিবর্তনও দেখা যায়।
এ ছাড়া আজকের কিশোর-কিশোরীদের সবচেয়ে সাধারণ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এগুলো হলো দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ, মনমরা ভাব ও হতাশা, মনোযোগের সমস্যা বা শেখার অসুবিধা, বন্ধুবান্ধবের চাপ, বুলিং, একা হয়ে পড়া, ঘুমের সমস্যা। মুঠোফোন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা গেমিংয়ে আসক্তি তৈরি হয়। মা-বাবার সঙ্গে বারবার তর্ক ও রাগ, হঠাৎ আবেগপ্রবণ আচরণ বা একাকিত্বের মতো সমস্যায় পড়তে হয় তাদের।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- মানসিকতা পরিবর্তন
- কৈশোর