রোজায় হাইপোথাইরয়েডিজমে ওষুধ সেবনে করণীয়
বিশ্বব্যাপী ৭০ কোটির বেশি মানুষ থাইরয়েডের সমস্যায় আক্রান্ত। বাংলাদেশে সঠিক কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও ধারণা করা হয় প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ থাইরয়েড জটিলতায় ভুগছেন। নারীরা এ সমস্যায় ভোগেন বেশি। এর মধ্যে থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতিজনিত ‘হাইপোথাইরয়েডিজম’ রোগীর সংখ্যাই বেশি।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অটোইমিউনের কারণে হাইপোথাইরয়েডিজম দেখা দেয়। এ ছাড়া থাইরয়েডের অস্ত্রোপচার, থাইরয়েডের প্রদাহ, আয়োডিনের ঘাটতি, রেডিয়েশন ও কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় হাইপোথাইরয়েডিজম দেখা দিতে পারে। থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতিজনিত প্রতিক্রিয়া ধীরে ধীরে পরিলক্ষিত হয় বলে বেশির ভাগ রোগী সমস্যা শুরুতে বুঝতে পারেন না। অনেক সময় রুটিন পরীক্ষায় থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়।
রোজায় করণীয়
যেহেতু পবিত্র রমজান মাস চলছে; তাই অনেক সময় হাইপোথাইরয়েডিজমের রোগীরা ওষুধ সেবনের সময় নিয়ে ঝামেলায় পড়েন। সাধারণত ইফতার ও সাহ্রিতে দুটি মূল খাবার গ্রহণ করা হয়। অনেকেই ইফতারের সময় ওষুধটি সেবন করে সঙ্গে সঙ্গে বা কিছুক্ষণ পর ইফতার করে ফেলেন। এতে ওষুধের কার্যকারিতা হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। যেহেতু ওষুধটি খালি পেটে খেতে হয়, তাই রমজানে সাহ্রি খাওয়ার কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে এটি সেবন করুন। ইচ্ছা করলে ইফতারের অন্তত তিন ঘণ্টা পরও সেবন করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে একটি জিনিস মনে রাখা ভালো, ওষুধটি সেবনের অন্তত এক ঘণ্টা পর খাবার খেতে হবে।