কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতির তুলনা করা যাবে না

কালের কণ্ঠ ড. আতিউর রহমান প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২২, ০৯:৩২

শ্রীলঙ্কায় যা ঘটছে তা দেখে আমরা গভীরভাবে ব্যথিত। ১২ এপ্রিল থেকে দেশটি সব বিদেশি ঋণের কিস্তি ফেরত দিতে পারবে না বলে নিজেই ঋণখেলাপি হিসেবে এক ব্যতিক্রমী ঘোষণা দিয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে লজ্জার ও দুঃখের। এমনটি এ অঞ্চলে আগে কখনো ঘটতে দেখিনি।


আরো বেদনাদায়ক বিষয় হলো, একটি নির্দিষ্ট মহল আমাদের এই সুন্দর দক্ষিণ এশীয় বন্ধু রাষ্ট্রের দুর্দশাকে পুঁজি করে বাংলাদেশের সম্ভাবনাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় কোনো সমস্যা নেই সে দাবি আমি করব না। কিন্তু আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির শক্তিমত্তা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ যে নেই সে কথা তো মানতেই হবে। বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশ ধ্বংসস্তূপ থেকে সমৃদ্ধির পথেই হেঁটে চলেছে। বিশেষ করে ২০০৯ সালের পর থেকে সামষ্টিক ও ব্যষ্টিক অর্থনীতির প্রতিটি সূচকের হিসাবে বাংলাদেশ বিশ্ব আর্থিক মন্দা এবং সর্বশেষ করোনাকাল পেরিয়ে সাহসের সঙ্গেই সম্ভাবনার পথে হাঁটছে। চ্যালেঞ্জ নিশ্চয় আছে। তবে সম্ভাবনার পাল্লাই ভারী। দুর্ভাগ্যবশত শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে সম্ভাবনা উবে গেছে। চ্যালেঞ্জ তীব্র থেকে তীবতর হচ্ছে। তাই এ কথা শুরুতেই মেনে নেওয়া ভালো যে এই দুই দেশের বিভিন্ন শক্তি ও দুর্বলতাসহ প্রবৃদ্ধির ভিন্ন ভিন্ন গতিপথ রয়েছে। সে কারণেই তাদের এক পাল্লায় মাপার সুযোগ নেই।


দক্ষিণ এশিয়ার সিঙ্গাপুর হওয়ার কথা ছিল শ্রীলঙ্কার। ১৯৮০-র দশকে যখন প্রথমবার গিয়েছিলাম তখন শ্রীলঙ্কার এত ভালোভাবে সমৃদ্ধ হতে দেখে আমি বেশ অবাক হয়েছিলাম। পরবর্তী সময়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক শক্তিকে বৈশ্বিক রেটিং এজেন্সিগুলো বিনিয়োগের গ্রেড হিসেবে রেট করে। আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ অনেক কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের রিজার্ভ বৈচিত্র্যময় করতে শ্রীলঙ্কার সার্বভৌম বন্ডে বিনিয়োগ করেছে। ২৬ বছর ধরে একটি মারাত্মক গৃহযুদ্ধ সত্ত্বেও অর্থনীতির উন্নতি অব্যাহত ছিল। মাথাপিছু জিডিপি ২০০৬ সালে এক হাজার ৪৩৬ মার্কিন ডলার থেকে ২০১৪ সালে তিন হাজার ৮১৯ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। দেশটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক রূপান্তরের বিশাল শক্তি প্রদর্শন করে বিশ্বব্যাংকের উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশগুলোর গ্রুপে যোগদান করেছে। তবে আয় বুঝে ব্যয় করার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে না পারার খেসারত এখন দেশটিকে দিতে হচ্ছে। পরিবারতন্ত্র ও গোষ্ঠীপ্রীতির কুপ্রভাবে আর্থিক ব্যবস্থাপনায় ধস নামে। ২০০৬ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে বৈদেশিক ঋণ তিন গুণ বেড়েছে। সরকারি ঋণ জিডিপির অনুপাতে ১১৯ শতাংশে উঠে গেছে। জিডিপির অনুপাতে বৈদেশিক ঋণ এখন ৭০ শতাংশের বেশি । অলাভজনক বিরাট বিরাট প্রকল্পের  (যেমন—সমুদ্র ও বিমানবন্দর) ঋণের দায়ও বেশি। ঋণ পরিশোধ বাবদ সরকারের রাজস্বের ৭২ শতাংশ পর্যন্ত চলে যায়। এ বছরই তার সাত বিলিয়ন ডলার ফেরত দেওয়ার কথা। এর ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে খেলাপি এড়াতে আরো বেশি রুপি মুদ্রণ করতে হয়। ফলে মূল্যস্ফীতি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও