পহেলা বৈশাখে ‘সাতশাকি’হারিয়ে ইলিশ
মহামতি সম্রাট আকবর বাংলা সালের প্রচলন করেছিলেন। শুরুটা ছিল বার্ষিক কর আদায়ের নিয়ম চালু জন্য একটি হিসাব রাখার মাধ্যমে। ধীরে ধীরে এই নিয়ম বার্ষিক বাংলা পঞ্জিকায় রূপ নেয়। বকেয়া কর ও খাজনা আদায়ের জন্য পরগণার পদস্থ কর্মচারীরা পাইক-পেয়াদা নিয়ে কখন ঢেরা পিটিয়ে কর আদায় করতে আসবে তার জন্য প্রজারা তটস্থ থাকতো। দিল্লীর আদেশ জারির দিন কয়েক বাদে সেটা বাঙ্গাল মুল্লুকে পৌঁছে যেত।
খাজনা দিতে দেরী হলে তখনও এখানকার গরীব চাষীদের বুক কাঁপতো, কিন্তু ধনীদের কোন চিন্তা ছিল না, এখনও নেই। কালের পরিক্রমায় এই ব-দ্বীপ অঞ্চলে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ জন্ম নিয়েছে। একটি সাহসী নির্ভীক জাতির উন্মেষ ঘটেছে, সৃষ্টি হয়েছে আপন উন্নত কৃষ্টি ও সংস্কৃতির। পহেলা বৈশাখে আজকের মত চারিদিকে জাঁকজমকরূপে রঙিন সাজ হবে, সর্বজনীন উৎসবে রূপ নেবে- সেটা হয়তো সম্রাট আকবর বা তাঁর পারিষদের কেউ ভাবেননি।