প্রাধ্যক্ষরাও ‘অসহায়’ ছাত্রলীগের কাছে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে সিট পেতে হল প্রশাসনের অনুমতির পাশাপাশি ছাত্রলীগের সম্মতিও লাগে। ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের সম্মতি ছাড়া শিক্ষার্থীরা হলের সিট পান না বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার এক শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেন ছাত্রলীগের এক নেতা। অবশ্য দিনভর হলের বাইরে কাটানোর পর সন্ধ্যায় ওই ছাত্র হলে উঠতে পেরেছেন।
অনেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, আবাসিক হলে সিট বরাদ্দ পেয়ে প্রতি মাসে টাকা গুনছেন ঠিকই। কিন্তু সিট পাচ্ছেন না। উল্টো মেসভাড়া দিচ্ছেন। হল প্রাধ্যক্ষকে বললে তাঁরা ‘বড় ভাইদের’ (ছাত্রলীগ নেতা) ধরে হলে ওঠার পরামর্শ দেন।
শের–ই–বাংলা ফজলুল হক হলে এক মাস আগে সিট বরাদ্দ পেয়েছেন কলা অনুষদের একটি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী। কৃষক বাবার ওই সন্তান এখনো হলে উঠতে পারেননি। তাঁর ভাষ্য, প্রাধ্যক্ষের কাছে অনেকবার গেছেন। কিন্তু প্রাধ্যক্ষ কোনো বড় ভাইকে ধরে হলে উঠতে বলেছেন।
গতকাল সকালে শের-ই-বাংলা ফজলুল হক হলের একটি কক্ষ থেকে আবাসিক এক শিক্ষার্থীকে তাঁর বাক্সপেটরাসহ বের করে দেন ছাত্রলীগের হল শাখার সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে রাতুল।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আকিব জাবেদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বরাদ্দ করা কক্ষ ছিল ১২৯ নম্বর। সারা দিন বাইরে অপেক্ষার পর সন্ধ্যায় হল প্রশাসন তাঁকে ২৪২ নম্বর কক্ষে তুলে দিয়েছে।
সন্ধ্যায় ওই শিক্ষার্থীকে হলে তোলার সময় হল প্রাধ্যক্ষ মো. হাবিবুর রহমান ছাড়াও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক তারেক নূর, সহকারী প্রক্টর আরিফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
হল প্রাধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান বলেন, আকিবকে একটি কক্ষে তাঁরা তুলে দিয়েছেন। এখন তাঁরা দেখবেন, ঘটনাটি কেন কীভাবে ঘটল।