হিটস্ট্রোক মোকাবিলায় খাদ্যাভাসে যেসব পরিবর্তন জরুরি
গরমে হিটস্ট্রোক রোধে খাদ্যাভাসে কিছু বিশেষ পরিবর্তন প্রয়োজন। যেমন-
১. প্রতিদিন অন্তত ১০-১২ গ্লাস অথবা আড়াই থেকে তিন লিটার খান। শরীরে পর্যাপ্ত পানি থাকলে ঘাম হলেও ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হবে না। সাধারণ পানি খেতে না চাইলে তাতে সামান্য লেবুর রস, জিরা বা পুদিনাপাতা মিশিয়ে নিতে পারেন। পানির পরিবর্তে কফি বা কোল্ড ড্রিঙ্ক খাওয়া ঠিক নয়। এই ধরনের পানীয় শরীরের কোনও উপকারই করে না। বরং এতে থাকা অতিরিক্ত চিনি থেকে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২. লেটুস, শসা, তরমুজ, আনারস, কমলালেবু, মুসাম্বি এবং পুদিনা গরমের জন্য আদর্শ। এতে ক্যালরির পাশাপাশি সোডিয়ামের পরিমাণও কম থাকে। এছাড়াও এসব খাবারে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, এ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় তৃষ্ণা মেটাতেও সাহায্য করবে। সেই সঙ্গে শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদানেরও জোগান দেয়।
৩. প্রতিদিন এক গ্লাস করে ফলের জুস বা অন্য সবুজ সবজির রস (ধনেপাতা, পুদিনা, কারিপাতা, পালংশাক) খেতে পারেন। স্বাদ বাড়াতে তাতে সামান্য বিট লবণ মিশিয়ে নিতে পারেন। রাস্তায় বেরলে কোমল পানীয়র পরিবর্তে ডাবের পানি, চিনি ছাড়া লেবুর পানি, লাচ্ছি ইত্যাদি খেতে পারেন।
৪. ডায়েটে পর্যাপ্ত পরিমাণে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট রাখুন। রিফাইন্ড খাবার বেশি খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ অনেক বেড়ে যায় যা হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দেয়।
৫. প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটও ডায়েটে রাখুন। নিয়মিত ডিমের সাদা অংশ, টকদই, ডাল, স্প্রাউট, অলিভ অয়েল এবং বাদাম খেতে পারে।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- হিটস্ট্রোক
- খাদ্যাভাস