পাকিস্তানে ক্ষমতার পালাবদল বিশ্বে কি প্রভাব ফেলবে?
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তিন বছর সাত মাস ক্ষমতায় থাকার পর নানা নাটকীয়তা শেষে শনিবার মধ্যরাতে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
সোমবার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে ভোটের জন্য পার্লামেন্ট অধিবেশন ফের শুরুর পর একটি নতুন সরকার গঠিত হবে, সম্ভবত বিরোধীদলীয় নেতা শাহবাজ শরিফের অধীনে।
২২ কোটির বেশি মানুষের দেশ পাকিস্তান। দেশটির পশ্চিমে আফগানিস্তান, উত্তরপূর্বে চীন এবং পূর্ব সীমান্তে ভারতের অবস্থান। ভৌগলিক অবস্থানগত কারণেই আঞ্চলিক ভূরাজনীতিতে পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছে।
ওদিকে জন্মলগ্ন থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের মিত্রতার সম্পর্ক অটুট। কিন্তু ২০১৮ সালে ক্ষমতায় এসে মিত্রতার সেই ধারাবাহিকতায় বিঘ্ন ঘটনা ইমরান। যুক্তরাষ্ট্র নয়, তিনি বরং চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে বেশি আগ্রহ দেখান।
অথচ যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে নিজেদের সব থেকে বড় শত্রু মনে করে চীনকে। বিশ্বজুড়ে মোড়লিপনা থেকে শুরু করে অর্থ-বাণিজ্য বা সামরিক শক্তি, সব ক্ষেত্রেই দুই দেশ পরষ্পরের চরম প্রতিদ্বন্দ্বী।
তাই ইমরান যখন বার বার আমেরিকার সমালোচনা করে নানা বক্তব্য দিয়েছেন, চীন ঘনিষ্ঠ হওয়ার এবং হালে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ হয়েছেন তখন স্বাভাবিক ভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের সেটা পছন্দ হওয়া কথা না।
তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ইমরানের অভিযোগের তীরও যুক্তরাষ্ট্রের দিকেই।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া যখন ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরু করে তখন মস্কো সফরে ছিলেন ইমরান। তার ওই সফর যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষুব্ধ করেছে বলে দাবি করেছেন খোদ ইমরান।