কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

খাদ্যের দাম বাড়ার দায় ও দায়িত্বহীনতা

দেশ রূপান্তর রাজেকুজ্জামান রতন প্রকাশিত: ০৯ এপ্রিল ২০২২, ১০:২২

মানুষের সহ্য ক্ষমতা মাপার কোনো পদ্ধতি কি আছে? আছে কি দায়িত্ববোধ মাপার কোনো মাপকাঠি? যদি থাকত তাহলে নির্দ্বিধায় বলা যেত যে এসব পদ্ধতি বা মাপকাঠি বাংলাদেশে অকার্যকর। বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীতে মনে হয় খুব কম দেশই আছে যে দেশের ক্ষমতাসীনরা কথায় কথায় স্বাধীন দেশের গর্ব আর স্বাধীনতার চেতনা সমুন্নত রাখার কথা বলেন। এবং বাজারে গেলে বোঝা যায় স্বাধীনতার বহুমুখী ব্যবহার কতভাবে চলছে দেশে। বাজারে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াচ্ছেন স্বাধীনভাবে। তাদের স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে তৎপর সব মহল। কেউ সহায়তা করছেন যুক্তি দিয়ে। যেমন : কী করবেন, সারা পৃথিবীতেই দাম বেড়েছে, অথবা মানুষের চাহিদা বেড়েছে বহু গুণ, কিংবা মানুষের আয় বেড়ে গেছে তো তাই; আর সবচেয়ে কার্যকর যুক্তি, আগের সরকারের সময়ে দাম বাড়েনি? তখন কোথায় ছিলেন? অন্যদিকে মানুষের সহ্য ক্ষমতার কথাও ক্ষমতাসীনরা বলেন হেসে হেসে, কই দ্রব্যমূল্য নিয়ে সাধারণ মানুষের তো কোনো অসন্তোষ নেই! মানুষ ভালো আছে। এসব কথায় মানুষের গা জ্বলে যাওয়ার কথা থাকলেও মানুষ যেন নির্বিকার ভঙ্গিতে তা শুনছেন। এর অর্থ কি এই যে, মানুষের সহ্য ক্ষমতা বেড়েছে অর্থাৎ সহ্য করার স্বাধীনতা বেড়েছে? 


গত কয়েক দিন আগে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছিল। তাতে অংশ নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধি বলেন, ‘সরবরাহে কোনো ঘাটতি না থাকলেও খুচরাপর্যায়ে দাম বাড়ার অন্যতম কারণ চাঁদাবাজি। এতে প্রতিটি পণ্যের দামের একটি অংশ যায় চাঁদার পেছনে। এসব যদি সামাল দেওয়া না যায়, ভোক্তাপর্যায়ে নিত্যপণ্যের বাড়তি দাম নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে না।’ প্রথম সারির বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে এই সংবাদ যে, ক্যাব প্রতিনিধি যখন সড়কে ও বাজারে চাঁদাবাজির কথা বলছিলেন, তখন সভায় উপস্থিত অধিকাংশ ব্যবসায়ী হাততালি দিয়ে তাকে সমর্থন জানিয়েছেন। এমনকি গুপ্ত চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে বলে কেউ কেউ স্লোগান পর্যন্ত দিয়েছেন সেই সভায়। গুপ্ত চাঁদাবাজিতে কারা যুক্ত সেটা অবশ্য গুপ্ত থাকেনি। সবাই বুঝে নিয়েছেন সেটা। আর অনেকের মনের কথা যখন কোনো একজনের বক্তৃতায় উঠে আসে তখন উপস্থিত শ্রোতারা সমর্থন সূচক হাততালি দেন। সেটা শুধু সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ নয়, ক্ষোভেরও প্রকাশ। 


এটা হলো সমস্যার একটা দিক। অন্যদিকে দেশের বাজারে নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন বেড়ে যাওয়ার পেছনে ব্যবসায়ীরা কম দায়ী তা বলার কোনো উপায় নেই। দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে তাদের অজুহাতের অন্ত নেই। আজ রোদ উঠেছে, কাল বৃষ্টি নেমেছে, পরশু কুয়াশা পড়েছে, খরা, বৃষ্টি, বন্যা, প্রচণ্ড শীত, ভীষণ গরম, সেতুর টোল, রাস্তার যানজট এহেন কোনো বিষয় নেই যা অজুহাত হিসেবে দাঁড় করানো যায় না। সবকিছুর পেছনেই যুক্তি আছে কিন্তু এসবের কারণে কত দাম বাড়তে পারে তার কোনো জবাবদিহি নেই। ফলে এ রকম যেকোনো অজুহাতে আমদানিকারক, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা থেকে শুরু করে পাড়ার গলির মুখের খুচরা সাময়িক বাজার, সবখানেই দাম বেড়ে যায় অদৃশ্য যোগাযোগে। অর্থনীতিবিদরা বলেন, এ নাকি বাজারের অদৃশ্য হাত আর সাধারণ মানুষ দেখে এ হলো ব্যবসায়ীদের কাছে মুনাফার হাতছানি। কার ইশারায় এই অপূর্ব শৃঙ্খলায় মূল্যবৃদ্ধি ঘটে, কারা থাকেন নেপথ্যে তা খুঁজে পাওয়া না গেলেও মানুষ বহু দুঃখে জেনেছে এর নাম সিন্ডিকেট। এরা থাকে ক্ষমতার বলয়ের চারপাশে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও