কয়েক দিন আগে সমকালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, রোজায় ঢাকায় যানজটে ভোগান্তি আরও বাড়বে। বস্তুত হয়েছেও তা-ই। প্রথম রোজায় কর্মস্থল থেকে বাসায় ইফতারের উদ্দেশ্যে বের হয়ে অনেকে রাতেও গন্তব্যে পৌঁছতে পারেননি। ঢাকা মহানগরীতে যানজট এতটা অসহনীয় পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে, বুধবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বক্তব্যে পরিস্থিতিকে 'নরকযন্ত্রণা'র সঙ্গে তুলনা অত্যুক্তি হতে পারে না।
বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদের সমালোচনার জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, মানুষের জীবনমান উন্নত হওয়ায় যানজট বেড়েছে। তিনি এও বলেছেন, আওয়ামী লীগ আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকলে উপজেলা পর্যায়েও যানজট হবে। আমরা মন্ত্রীর বক্তব্যে বিস্মিত না হয়ে পারি না।
সরকারের দায়িত্ব নাগরিকের জীবনযাত্রা মসৃণ করা। জীবনমান উন্নত হওয়ার মাশুল যদি মানুষকে ভোগান্তির মধ্য দিয়ে গুনতে হয়, তাহলে এমন উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। ঢাকার যানজন নিরসন যতটা কঠিন; উদ্ভট কথাবার্তা বলা ততটাই সহজ। কিন্তু সমাধান দিতে না পারলে মুখ বন্ধ রাখাই শ্রেয়- এটা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই।
আমরা জানি, যানজট রাজধানীর পুরোনো সংকট। এ লক্ষ্যে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার তাগিদ এর আগে আমরা সম্পাদকীয় স্তম্ভেই দিয়েছিলাম।