পাকিস্তানে গণতন্ত্রের মৃত্যু হলেও বাঁচুক প্রধানমন্ত্রী
পাকিস্তান আরও একবার নজিরবিহীন সাংবিধানিক সংকটে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর আনা অনাস্থা প্রস্তাব জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে নাকচ করে দিলে রাজনৈতিক সংকট গড়ায় সাংবিধানিক সংকটে। জাতীয় পরিষদের ৩৪২ সদস্যের ওপর স্পিকারের এমন হস্তক্ষেপ এবং তাঁর ইচ্ছা চাপিয়ে দেওয়া নজিরবিহীন বলছেন দেশটির আইনজীবী ও রাজনৈতিক কর্মী জিবরান নাসির। চলমান রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট নিয়ে দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডনে লেখা তাঁর মতামতটি ছিল এমনই।
গত রোববার জাতীয় পরিষদে ডেপুটি স্পিকারের কর্মকাণ্ডে হয়তো এই যাত্রায় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে হটাতে বিরোধীদের প্রচেষ্টা ঠেকানো গেছে। কিন্তু তাঁর এই কর্মকাণ্ড দেশকে আরেকটি সাংবিধানিক সংকটে ফেলে দিয়েছে। সংসদীয় শক্তি—সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সংলাপ ও যোগাযোগ পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়ার বিষয়টি এখন প্রকাশ্য। সমস্যাটা হলো বিচারব্যবস্থাকে আবারও রাজনীতিতে টেনে আনা। সংসদীয় কার্যক্রম এখন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ।