মুখপাণ্ডিত্য কাম্য নয়
ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু চৈত্রের খরতাপ বা নিত্যপণ্যের বাজারে জ্বলতে থাকা আগুন লুকানোর কোনো সুযোগ নেই। সরকার তা নেভানো বা দমানোর চেষ্টা করছে না- এমনও নয়। একের পর এক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বাজার নিয়ন্ত্রণের। কমবেশি সাফল্যও আসছে। গোলমালটা বাধছে কয়েক মন্ত্রীসহ ক্ষমতাসীন কারও কারও মুখপাÐিত্যের কারণে। তা কাটা গায়ে নুনের ছিটার মতো বিঁধছে দ্রব্যমূল্যে অতিষ্ঠ মানুষের বুকে।
একে তো রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের জের, এর ওপর সামনে রমজান। এবারের বাস্তবতা একটু বেশি কঠিন। আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলানোর দুর্বিষহ সন্ধিক্ষণে বাজারের আগুনে উন্নয়ন আর জীবন বাঁচানোর অর্থনীতি। মাথাপিছু আয়ের সঙ্গে সেবা ও নিত্যপণ্যে দামের ঘোড়দৌড়। এই দৌড়ে আমদানি করা জিনিসের সঙ্গে দেশে উৎপাদিত পণ্যের দামও বাড়ছে। বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে কিছু পণ্যের দাম বৃদ্ধির পেছনে যুক্তি থাকলেও দেশি পণ্যের দাম বাড়ছে অযৌক্তিকভাবেই। একটি শ্রেণি বরাবরই দাম হাঁকানোর মওকা খোঁজে। রোদ, বৃষ্টি বা আকাশে মেঘ জমলেও তারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে লাভবান হওয়ার মধ্যে অনৈতিকতা দেখে না, পাপ বোধ করে না।