দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও টিসিবির ট্রাকে লাইন
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সাধারণ ও স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনযাত্রায় কতটা প্রভাব ফেলেছে তা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গাড়ির সামনে দীর্ঘ লাইন দেখেই ধারণা করা যায়। আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে খোলাবাজারে ভোজ্য তেলের দাম সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছিল। বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার ভ্যাট কমানোর ঘোষণা দেয়। গত বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এবং অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর আরোপিত ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে।
চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগেই ১০ শতাংশ শুল্ক কমানো হয়েছে। তা ১৫ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ আছে। ছোলার আমদানি শুল্ক ছিল না।
সরকার ভ্যাট কমানোর ঘোষণা দিলেও বাজারে তার প্রভাব কতটা পড়েছে? কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, বাজারে তেলের ‘দাম কমেছে মুখে মুখে, বাস্তবে কমেনি’। ভ্যাট কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পরও বাজারে কোথাও বোতলের গায়ে লেখা দামে, কোথাও গায়ের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে সয়াবিন তেল। কিছু ব্যবসায়ী দাবি করছেন, গায়ের দামেই তাঁরা কম্পানির কাছ থেকে কিনে আনছেন। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। শুধু তেল নয়, সব ধরনের পণ্যের দামই বাড়তির দিকে। চাল, ডাল বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। সবজির দামও বেশি। সাধারণ মানুষ দুষছে সরকারকে। বাজারে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, এমন কথাই বলা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, বাজারে সরকারের আদৌ কোনো নজরদারি আছে কি না। যথাযথভাবে বাজার মনিটর করা হচ্ছে কি না—এটাও একটা বড় প্রশ্ন। অস্থিতিশীল বাজার পরিস্থিতিতে অসহায় হয়ে পড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ।