সুশাসন প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা আছে কি?

সমকাল হাফিজ উদ্দিন খান প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২২, ০৯:৫০

দেশে দুর্নীতির ক্ষেত্র ও উৎসের পাশাপাশি এর প্রতিকার-প্রতিবিধান নিয়েও আমরা কথা বলে আসছি। রাষ্ট্র পরিচালনায় তো বটেই, রাষ্ট্রের প্রতিটি সংস্থা কিংবা প্রতিষ্ঠানে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও সুনীতি চর্চার কোনো বিকল্প নেই। 'সুশাসনে জোর, দুর্নীতিতে লাগাম চায় আইএমএফ' শিরোনামে ৯ মার্চ সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যে তথ্য উঠে এসেছে; আমরাও এ রকম কথা বলে ও দাবি জানিয়ে আসছি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছে, শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী করে, দুর্নীতির ঝুঁকি কমিয়ে কাঠামোগত উন্নয়ন করলে তা বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়তা করবে। সরকারি খাত ডিজিটাইজেশন হলে স্বচ্ছতা বাড়বে এবং দুর্নীতি কমবে- এই অভিমত ব্যক্ত করেছে সংস্থাটি। আমরা অন্যের চেয়ে আমাদের বাস্তবতা যেমন ভালো বুঝি, তেমনি এর নিরিখেই সচেতন নাগরিক হিসেবে পরামর্শও দিয়ে আসছি। দুঃখের বিষয় হলো, এসব খুব কমই আমলে নেওয়া হয়।


দুর্নীতি আমাদের কী ভয়াবহ ব্যাধি হয়ে আছে, তা জানতে আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থার দ্বারস্থ হওয়ার দরকার নেই। দেশের এমন কোনো খাত নেই যেখানে অনিয়ম-দুর্নীতি বাসা বাঁধেনি; সুশাসন নির্বাসনে যায়নি। দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের দক্ষতা বৃদ্ধি, সরকারি কর্মকর্তাসহ মন্ত্রী-এমপিদের সম্পদের হিসাব দাখিল, জনস্বার্থ-সংশ্নিষ্ট যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জনমত যাচাই ইত্যাদি বিষয়ে আমরা বারবার তাগিদ দিয়ে আসছি। সুশাসন নিশ্চিত না হলে অনিয়ম-দুর্নীতির লাগাম টানা যাবে না। দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারের 'শূন্য সহিষুষ্ণতা'র অঙ্গীকার সত্ত্বেও অনিয়ম-দুর্নীতি কমা দূরের কথা, তা যেন বেড়েই চলেছে! কেন? এই 'কেন'র উত্তর সন্ধান জরুরি। অঙ্গীকার-প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা আর নির্মোহ অবস্থান নিয়ে প্রতিকার নিশ্চিত করা এক বিষয় নয়। এ বছরের প্রথমদিকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) দুর্নীতির ধারণা সূচকে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৩তম হিসেবে চিহ্নিত হয়।


সরকারের নীতিনির্ধারকরা সুশাসনের ব্যাপারে দ্বিমত প্রকাশ না করলেও এ বিষয়ে তাদের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সুশাসন সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন নির্দেশক এবং আইএমএফের প্রাক্কলন অনুযায়ী বাংলাদেশের যে স্কোর নির্ণয় করা হয়েছে তাতে দেখা যায়, সুশাসনের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান দুর্বল। সব সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার গড় স্কোরের চেয়েও পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। আমরা দেখছি করোনা দুর্যোগে সরকারের নান ারকম সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে অনিয়মকারী দুর্নীতিবাজদের স্বেচ্ছাচারিতার থাবা। অর্থ পাচারের মতো গুরুতর ব্যাধির চিত্র তো সংবাদমাধ্যমে প্রায়ই উঠে আসছে। ব্যাংক খাতের নানা অস্বচ্ছতা নিয়ে সমালোচনা অব্যাহত থাকলেও এর প্রতিকারের তেমন কিছুই দেখা যায় না কিংবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া হলেও এর গতি অত্যন্ত মন্থর। সেবা খাতগুলোর চিত্র আরও বিবর্ণ। যে কোনো সেবা নিতে গিয়ে মানুষকে কী ভোগান্তির শিকার হতে হয়, তা ভুক্তভোগীমাত্রই জানা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও