ত্বকী হত্যা: দুর্বৃত্ততোষণ ও বিচারহীনতার ব্যাকরণ

প্রথম আলো অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ প্রকাশিত: ০৬ মার্চ ২০২২, ২০:২৪

কোনো কোনো ঘটনা বা কোনো কোনো মুখ মানুষকে আচ্ছন্ন জীবন থেকে মুক্ত করে কঠিন বাস্তবতার সম্মুখে দাঁড় করায়। বইপড়া, লেখালেখি আর শিল্পকর্মে ডুবে থাকা এক কিশোর, নাম যার তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে তাকে খুন করা, বছরের পর বছর খুনের বিচার আটকে থাকা এবং খুনিদের আস্ফালন—সব আমাদের সামনে এসে দাঁড়ায়। এ রকম একটি মুখ, এ রকম একটি দুঃস্বপ্ন আমাদের অবিরাম যন্ত্রণা দিতে থাকে, প্রশ্নের ভার তৈরি হয়। একটি মুখই তাড়া দিতে থাকে, নীরবতা ভেঙে আরও বহু রক্তাক্ত মুখ স্মরণ করতে, নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে।


প্রতিবছর যখন এই দিন আসে (২০১৩ সালের ৬ মার্চ, ত্বকী নিখোঁজ হওয়ার দিন), তত দিনে ত্বকীর সঙ্গে যোগ হয় আরও নাম, খুন-গুম-জুলুমের মধ্যে থেকে তাদের কণ্ঠস্বর ভাসে। এই সারিতে আগে থেকেই আছে সাগর-রুনির নাম—ছোট সন্তানের মা–বাবা সাংবাদিক দম্পতি। ঘরে এসে খুনিরা তাদের খুন করে গেছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের ধরার প্রতিশ্রুতি দিলেও রাষ্ট্র এত বছরেও তার তদন্ত শেষ করেনি। সোহাগী জাহান ওরফে তনু নামের এক তরুণী সাংস্কৃতিক কর্মীকে ধর্ষণের পর খুন করে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়েছে। না, এত বছরেও সে বিষয়ে কোনো তদন্ত এগোয়নি। আর নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশে প্রবল প্রতিবাদের কারণে ত্বকী হত্যার তদন্ত হয়েছিল, খুনি শনাক্তও হয়েছিল, তাদের মধ্যে আজমেরী ওসমানের নাম ছিল প্রথমে। তারপরও ওপরের নির্দেশে আর বিচার এগোয়নি। উল্টো এই পরিবারকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আরও পদ দিয়ে পুরস্কৃত করেছে সরকার। তাই তাদের হুমকি, হামলা, উদ্ধত আস্ফালন এখনো অব্যাহত থাকতে পারছে।


আগের ধারাবাহিকতায় এই সময়কালেও বহু মানুষ বিনা বিচারে খুন হয়েছে ক্রসফায়ারের নামে, গুম হয়েছে বহুজন, পুলিশ হেফাজতে নিহত হয়েছে অনেকে, যাদের মধ্যে মুশতাক অন্যতম। এসব নিয়ে প্রতিবাদ বা প্রশ্ন তোলা ঠেকানোর জন্য করা হয়েছে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ নামে জনগণের জন্য নিরাপত্তাহীনতার আইন। এখন এই আইন বাতিল করার পরিবর্তে তাকে আরও জুলুমবান্ধব করার ব্যবস্থা হচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও