আস্থা পুনরুদ্ধারের পরীক্ষায় সার্চ কমিটি

সমকাল হাফিজ উদ্দিন খান প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১:৪৬

সরকার বলেছিল, হাতে যে সময় আছে এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন আইন গঠন করা সম্ভব নয়। তারপর হঠাৎ তড়িঘড়ি করে সরকার আইন প্রণয়ন করল, যা প্রশ্নমুক্ত নয়। সরকার হয়তো বলবে ইসি গঠনে তারা আইন করেছে। কিন্তু জনগণের প্রত্যাশা ও সংবিধান অনুসারে আইনটি প্রণীত হয়েছি কিনা এ নিয়ে এরই মধ্যে কথা হয়েছে অনেক। তরপরও এই আইন অনুসারেই গঠিত হতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এজন্য যে অনুসন্ধান কমিটি গঠিত হয়েছে তাদের পক্ষে কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন কমিশন গঠন শেষ পর্যন্ত কতটা সম্ভব হবে- এর জন্য এখন আমরা তাকিয়ে আছি সামনের দিকে। গঠিত সার্চ কমিটির কোনো কোনো সদস্যের রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি আনুগত্যের যে অভিযোগ উঠেছে তাতে সন্দেহের দানা আরও পুষ্ট হয়েছে। এই সার্চ কমিটির একজন সদস্য সাবেক নির্বাচন কমিশনার, যিনি অতীতে কর্মদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন বটে কিন্তু পরে তিনি একটি রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। এমতাবস্থায় সার্চ কমিটি নিয়ে যেসব প্রশ্ন রয়েছে তা অমূলক নয়।


সার্চ কমিটি নিয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা প্রীতিকর নয়। অতীতে আমরা দুটি সার্চ কমিটির পারফরম্যান্স যা দেখেছি তা মোটেও সন্তুষ্ট হওয়ার মতো ছিল না। ব্যবস্থা কিংবা প্রক্রিয়াগত ত্রুটির কারণে আমাদের অনেক উদ্যোগই বিতর্কিত হওয়ার নজির রয়েছে। যত বিতর্কই থাকুক তারপরও এবারই প্রথম নির্বাচন কমিশন গঠিত হতে যাচ্ছে আইনের কাঠামোবলে। দেশে কয়েকটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন ঘিরেই বিতর্ক বেশি। সদ্য বিদায়ী নূরুল হুদা কমিশন এই বিতর্ক আরও বেশি পুষ্ট করে। বিদায়কালেও সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা যেসব কথা বলেছেন তা লজ্জার। কমিশনার মাহবুব তালুকদার বরাবরের মতোই পৃথক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতার কথা বলে গেছেন। তাদের ব্যাপারে জনঅভিযোগের বিষয়গুলো মাহবুব তালুকদার অস্বীকার না করলেও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য জনমতের সম্পূর্ণ বিপরীত।


বিদায়ী হুদা কমিশন নিয়ে সংবাদমাধ্যমে আগে থেকেই অনেক নেতিবাচক চিত্র উঠে আসছিল। দেশের বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিকও তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে লিখিত দিয়েছিলেন। দেশের নির্বাচনব্যবস্থায় ধস নামার পেছনে মুখ্য দায় নির্বাচন কমিশনের। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে যে সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে এই কমিটির প্রত্যেকের আমলে রাখা উচিত, যেহেতু এ ব্যাপারে আমাদের অভিজ্ঞতা প্রীতিকর নয় সেহেতু তাদের নীতি-নৈতিকতার পরীক্ষায় নির্মোহ অবস্থান নিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও