ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু চরম অবহেলিত
সম্প্রতি দেখা গেছে একিউআই ইনডেক্সে ঢাকার বাতাস ধারাবাহিকভাবে সবচেয়ে দূষিত থেকেছে। এই দূষিত বাতাস শরীরে প্রবেশ করলে তাতে শ্বাসযন্ত্র, হৃদযন্ত্র, ব্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি চরম মাত্রায় পৌঁছে। বিষয়টি একদিকে পরিবেশগত অন্যদিকে ভীষণরকম জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত। ফলে এ বিষয়টিকে খুবই গুরুত্বের সাথে নেয়া উচিত। কিন্তু প্রতিনিয়ত বাতাসের মান যেভাবে খারাপ হচ্ছে তাতে গুণগত কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। ফলে করে জনস্বাস্থ্য চরম ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
বায়ুর মান সম্পর্কিত এ বিষয়ের সাথে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমাদের অবস্থা কেমন-সে প্রশ্ন তোলাটাও ভীষণরকম জরুরি নয় কি? এ নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে? পরিকল্পনা থাকলেও তা কেমন-জনগণ তা জানেই না বলতে গেলে। আগের কথা দূরে সরিয়ে রেখে যদি করোনার এ সময়ে তৈরি হওয়া অতিরিক্ত মেডিকেল বর্জ্য নিয়ে আমরা কথা বলি তাহলেও বিষয়টি খোলা চোখে যতটুকু দেখা যায়ে তাতে নানাবিধ প্রশ্ন সামনে এসে যায়।
প্রশ্ন হচ্ছে সেসব বর্জ্য যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাবে পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করছে কি না? এ তো গেল হাসপাতাল নিয়ে কথা। কিন্তু বাসাবাড়িতে এ সময়ে যে মেডিকেল বর্জ্য তৈরি হচ্ছে তার কি হচ্ছে? আমরা যে ওয়ান টাইম মাস্ক ব্যবহার করছি বাসায় ফিরে সেগুলো কি করছি আমরা? বাড়িতে থেকে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের থেকে তৈরি মেডিকেল বর্জ্য কি হচ্ছে? নিশ্চয়ই বাসার সাধারণ ময়লার ঝুঁড়িতে তার স্থান হচ্ছে! সেসব বর্জ্য গিয়ে জমা হচ্ছে ল্যান্ডফিলগুলোতে। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে দারুণভাবে। এসব বর্জ্য আলাদাভাবে সংগ্রহ করে তা ব্যবস্থাপনার জন্য কি কোনোরকম প্রচারণা বা জনসচেতনতা তৈরি করা গেছে? হলেও আমি অন্তত তা দেখিনি বা শুনিনি।
- ট্যাগ:
- মতামত
- বায়ু দূষণ
- অবহেলিত
- হাসপাতালের বর্জ্য