আওয়ামী লীগ কী বলেছিল, কী করেছে

প্রথম আলো সোহরাব হাসান প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩:০৩

যেকোনো রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহার হলো জনগণের কাছে তাদের ওয়াদা। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের (সেই নির্বাচন যেভাবেই হোক না কেন) মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকারের তিন বছর পূর্ণ হলো। আগের তিন মেয়াদে (১৯৯৬-২০০১, ২০০৯-২০১৪, ২০১৪-২০১৮) আওয়ামী লীগ জোটসঙ্গীদের নিয়ে সরকার গঠন করলেও এবার করেছে এককভাবে। ফলে তিন বছরে সফলতার কৃতিত্ব যেমন, তেমনি ব্যর্থতার দায়ও এককভাবে আওয়ামী লীগের।

২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহারের মূল কথা ছিল ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ দেশবাসীর কাছে কী ওয়াদা করেছিল, সেই ওয়াদার কত অংশ পূরণ হয়েছে, কত অংশ হয়নি, সেসবের একটি বস্তুনিষ্ঠ পর্যালোচনা প্রয়োজন।


ওই নির্বাচনী ইশতেহারের ৩.১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছিল: বিগত ১০ বছরে জাতীয় সংসদই ছিল সব রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের চলমান প্রক্রিয়াকে আরও জোরদার করব। সংসদকে আরও কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। একই সঙ্গে মানবাধিকার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, গণমাধ্যম, বিচার বিভাগকে আরও শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
বিজ্ঞাপন

কিন্তু গত তিন বছরে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ কিংবা জাতীয় সংসদকে ‘আরও কার্যকর’ করার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। মনে আছে, নব্বইয়ে স্বৈরাচারের পতনের পর যখন বেসরকারি টিভি চ্যানেল ছিল না, জাতীয় সংসদের ধারাবিবরণী সরকারি প্রচারমাধ্যম রেডিওকে প্রচার করা হলে রাস্তাঘাটেও মানুষ ভিড় জমাত। গাড়ির চালকেরা গাড়ি থামিয়েও সেই বিতর্ক শুনতেন। এখন জাতীয় সংসদের বিতর্ক নিয়ে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব গণতন্ত্রকে এই অবস্থায় নিয়ে এসেছে।


ইশতেহারে আওয়ামী লীগ মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী করার কথা বলেছিল। গত এক যুগে কমিশন একটি অথর্ব প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। অধ্যাপক মিজানুর রহমান চেয়ারম্যান থাকাকালে মানবাধিকার কমিশনকে কিছু কিছু বিষয়ে আওয়াজ তুলতে দেখা যেত। এখন একেবারে নীরব। আওয়ামী লীগ দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করার কথা বলেছে। দুদক ছোট ও মাঝারি দুর্নীতিবাজদের ধরলেও রাঘববোয়ালেরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও