জানতে হলে পড়ার বিকল্প নেই
প্রযুক্তির প্রসারে জ্ঞানের রাজ্যে ঘটেছে ব্যাপক পরিবর্তন। এইমাত্র ছয়-সাত দশকের ব্যবধানে তালপাতা থেকে ল্যাপটপে লেখার পদ্ধতিগত পরিবর্তন এসেছে। সীতানাথ বসাকের আদর্শলিপি কিংবা ঈশ^রচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ’বর্ণ পরিচয়’ পাঠ চুকিয়ে এখন কম্পিউটারই হাতের লেখার চর্চা আর বানান শেখা শুধরানোর দায়-দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে। অধুনা মোবাইল ফোনেই চালানো যায় পত্রালাপ, ভালো-মন্দেও কা-জ্ঞান, বুদ্ধি, পরামর্শ পেতে লাইব্রেরিতে গিয়ে কস্ট করে মালমশলা জোগাড় করতে হয় না, গুগল দিনকে দিন তথ্য ও জ্ঞানের ভা-ার নিয়ে আউটসোর্সিং হিসেবে মানুষের মনশচক্রবাল প্রসারের দায়-দায়িত্ব নিতে হাজির।
এ পরিবেশ-পরিস্থিতিতে বইমেলায় যখন দেখা যায় ভিড় বাড়ছে, বই কেনার আগ্রহ ধরে রাখার জন্য প্রকাশনা জগতেও জাগছে নানান উদ্যোগ। ম্যান অ্যান্ড মেশিনের যুদ্ধই হবে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের অন্যতম মহড়া। রোবট লিভ সাবস্টিটিউট হওয়ার জন্য এক পায় খাড়া মানুষ কায়িক পরিশ্রম, কর্মসংস্থানের সুযোগকে সংকুচিত করতে। ঠিক এ সময়ে বইমেলা মানুষের আত্মশুদ্ধির, নিজেকে প্রস্তুত করার প্রত্যয়কে দৃঢ় করবে সন্দেহ নেই। এটা প্রতীয়মান হবে যে, বই পড়ার মাধ্যমেই চতুর্থ শিল্পবিপ্লব চলাকালে মেশিনের বিপরীতে মানুষকে আরও বেশি প্রস্তুত হতে সহায়ক হবে।