কেউ পালায়, কেউ রুখে দাঁড়ায়
নিঃসঙ্গতা। একাকিত্বতা। এসব এক সময় জন্ম দিতে পারে হতাশা। অনেকে সেই হতাশা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন। কেউ ডুবে মরেন। কেউ হতাশাকে পেছনে ফেলে দৌড়াতে চান। আশায় বুক বেঁধে বাঁচতে চান। কেউ মুক্তি খোঁজেন জীবনের ওপারে! সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এসে এক ভদ্রলোকের আত্মহত্যা দারুণ তোলপাড় ফেলেছে নেট দুনিয়ায়! গণমাধ্যমেও যার ঢেউ খানিকটা আঁচড়ে পড়েছে। কেন এই আত্মহত্যা? এর ব্যাখ্যা খুঁজতে গণমাধ্যমকর্মীরা ছুটেছেন মনোবিদদের কাছে। নানামাত্রিক ব্যাখ্যা মিলেছে।
কেউ বলেছেন, বহু রকম হতাশা থেকেই এই আত্মহত্যা! কিন্তু সেই আত্মহত্যার প্রচার-প্রচারণা যেভাবে হলো; তাতে বলতেই হচ্ছে গোটা সমাজই রোগগ্রস্ত! এবং সেটাও মানসিক রোগ। ফেসবুক লাইভে এসে যে লোকটা আত্মহত্যা করেছেন, তিনি রোগী। সন্দেহাতীতভাবে রোগী। তিনি রোগাগ্রস্ত হওয়ার কারণ পারিবারিক, ব্যবসায়িক যাই হোক, সেই রোগমুক্তির প্রেসক্রিপশনটা তিনি নিজের হাতেই লিখলেন। খরচ করলেন নিজের পিস্তলের একটা বুলেট। কিন্তু সেই মৃত্যু বা আত্মহত্যার দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে যারা লাখ লাখ ভিউ আর ব্যবসার দিকে ঝুঁকলেন, তারা কি মানসিকভাবে সুস্থ? সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই কর্মকাণ্ড কি আমাদের সমাজের সুস্থতার পরিচয় বহন করছে। যদি করত তা হলে কী আদালত থেকে নির্দেশ দিতে হতো; ডিজিটাল প্ল্যাটফরম থেকে ওই দৃশ্য সরিয়ে ফেলার।